চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী পূর্ব সাতবাড়িয়া বেপারীপাড়া গ্রামে প্রতি বছরের ন্যায় সাতবাড়িয়া বেপারী পাড়া তরুণ কর্মী সংঘের আয়োজনে এবছরও পালিত হয়েছে মহান “মে” দিবসে চাঁইদামুনি মন্দিরে ধর্ম সভা ও জ্ঞাতি সম্মেলন। প্রথম দিন সন্ধ্যায় পবিত্র মঙ্গল সুত্রপাঠ, একক সদ্ধর্মদেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
একক সদ্ধর্মদেশনা দেন রাঙ্গামাটি রাজ বন বিহারের আবাসিক ও সাধনানন্দ মহাস্থবিরের (বনভন্তে) প্রিয় শিষ্য, পরম পূজনীয় মেত্তাবংশ থেরো। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আনন্দ বার্তার নির্বাহী সম্পাদক ও উত্তর হাসিমপুর বন বিহারের নবরূপকার অধ্যক্ষ প্রজ্ঞানন্দ থেরো। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চন্দনাইশ ভিক্ষু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বেপারীপাড়া রত্নাংকুর বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মদূত ড. সুমনপ্রিয় থেরো,আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান ও সংগঠক জে. বি.এস আনন্দবোধি থেরো, বৈলতলী আম্রপালি বিহারের অধ্যক্ষ প্রিয়মিত্র ভিক্ষু, হাছনদন্ডি পুষ্পরাম বিহারের অধ্যক্ষ সোনানন্দ ভিক্ষু, সাতবাড়িয়া শান্তি বিহারের উপাধ্যক্ষ নিমফুল বিনয়মিত্র ভিক্ষু। এতে আরো ভিক্ষু শ্রামণ উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সুন্দর, সার্থক ও সার্ফল্যমণ্ডিত করেন।
একক সদ্ধর্মদেশনাকালে অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সনৎ জ্যোতি বড়ুয়া পটল, প্রফেসর জিনপ্রিয় বড়ুয়া, সমাজসেবক সুমন বড়ুয়া টুকু প্রমুখ । পরেরদিন ১ মে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে অষ্টপরিস্কারসহ মহতি সংঘদান সম্পন্ন হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জামিজুরী সুমনাচার বিদর্শনারামের অধ্যক্ষ শীলরক্ষিত মহাস্থবির। আশীর্বাদক ছিলেন চন্দনাইশের জম্মজাত বর্ষিয়ান সংঘপুরুষ রেবতপ্রিয় মহাথেরো, আর্যমিত্র মহাথেরো, প্রজ্ঞানন্দ খেরো, চন্দ্রবোধি থেরো, তিষ্যমিত্র ভিক্ষু, সুমনলংকার ভিক্ষু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রফেসর জিনপ্রিয় বড়ুয়া ও রত্নাংকুর বিহার সভার সাধারণ সম্পাদক দীপন কুমার চৌধুরী।এতে মধ্যাহ্নভোজনে অংশনেন গ্রামবাসীসহ শতাধিক আত্মীয়-স্বজন।চাঁইদামুনি মন্দিরের তোরণ নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর করেন ভদন্ত মেত্তাবংশ মহাথেরো।