
চন্দনাইশে গাজায় ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গাজায় ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা বরমার সর্বস্তরের জনগণ ৭ এপ্রিল সোমবার বিক্ষোভ মিছিল করেন। বরমা ইউনিয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতঘাটিয়া পুকুর পাড় চত্বরে এবং বরমা কলেজ প্রাঙ্গনে এসে জড়ো হয়।
গাজার আকাশে লাশের গন্ধ, বাতাসে কান্নার রোল। অবুঝ শিশুদের রক্তে ভেজা মাটি, মায়ের কোলে নিথর দেহ। ইসরাইলি বাহিনীর এই বীভৎসতার বিরুদ্ধে চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ রাজপথে নেমে এসেছেন। এতে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম,জসিম উদ্দিন, আবুল মনসুর, কামাল উদ্দিন, আহমেদ হোসেন আল কাদেরী, সাংবাদিক শিবলী সাদেক, কপিল, সাংবাদিক আসহাব উদ্দিন হিরো, আবু ইউসুফ নুর, কামরুদ্দিন নূরী, মাহমুদুর রহমান, সাংবাদিক ওমর ফারুক, সাজ্জাদ হোসেন শাকিল,খন্দকার ইমাদুল হাসান সুজন,হাবিবউল্লাহ রোহান,আতাহর হোসেন,ইমন উদ্দিন মানিক, মোহাম্মদ সামিউল্লাহ সামু, নাজিম উদ্দীন ( প্রবাসী), মোরশেদুল আলম, শাহজাহান কামাল, বেলাল, কাইছার, সৈকত, ওয়াশিম, মামুন স্যার, আব্দুর রহমান, সাকিল, এস্কান্দর,মাইনুল উদ্দিন,তায়বিন,সাখাওয়াত হোসেন, শিহাব,মোহাম্মদ আজিজ, প্রমুখ।
ঘণ্টাব্যাপী চলা ওই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে বক্তারা ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ করেন।
বক্তারা বলেন, “জিহাদের বাসনা আমাদের সকলের মনে আছে, কিন্তু মন চাইলেও যেতে পারছি না। তবে দেশে বসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমাদের জন্য সব চেয়ে বড় জিহাদ হবে তাদের সকল পণ্য বয়কট করা।”
ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় চুপ থাকা আরব দেশগুলোর সমালোচনা করে বক্তারা আরও বলেন, “আরবরা যদি ফিলিস্তিনের জন্য পশ্চিমা দেশে তেল রপ্তানি বন্ধ করে দেয়, তাহলে দুইদিনে ইসরায়েলীরা পথে আসবে। কিন্তু আরবরাই ফিলিস্তিনের সাথে গাদ্দারী করেছে।” তারা ৫৭টি মুসলিম দেশকে অবিলম্বে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পরে সালাতো সালাম ও মোনাজাতের মাধ্যমে প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষ হয়।