
কুষ্টিয়াসহ সারাদেশের লালন শিল্পীদের অংশগ্রহণে লালন স্মরণোৎসব ২৩ চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে রবিবার বিকাল চারটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। লালন পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক লূপর্ণা মুৎসুর্দ্দী লোপার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় স্মরণোৎসবে উদ্ভোধক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রামের জিএম নূর আনোয়ার হোসেন রনজু, বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া লালন একাডেমির প্রিন্সিপাল ওস্তাদ আক্কাস আলী সাইজী, কুষ্টিয়া লালন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হক, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সভাপতিত্ব করেন লালন পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি ছৈয়দ হোসেন শাহ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের উপস্থাপিকা দিলরুবা খানম।
উৎসবে গান পরিবেশন করেন এপার বাংলা ও ওপার বাংলার জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পী লুপর্ণা মুৎসুর্দ্দী লোপা, ছৈয়দ হোসেন শাহ, রাখি শবনাম, আশালতা,চাঁদনী, শহিদুল বাউল, ক্ষেপা প্রিন্স, রফিক বাউল, জুয়েল, সুকুমার দেসহ বিভিন্ন জেলা এবং দেশ বিদেশের নামকরা শিল্পীরা অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন লালন পরিষদে নেতা সুদময় দাশ, এম এম ফিরোজ, চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এডভেকেট দেলোয়ার হোসেন, কবি ও সাংবাদিক বিদ্যুৎ দেব, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা এডভোকেট অসমিথ চক্রবর্ত্তী অমিত প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, লালন ছিলেন কোন ধর্মের ছিলেন না। প্রতিটি ধর্মের মর্ম বাণী তার বাণীর মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। প্রাকৃতিক আবহাওয়া ভালো থাকলে চট্টগ্রামে এ অনুষ্ঠানে হাজার হাজার দর্শক হত। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ফকির লালন শাহকে নিয়ে এ যাবত এতগুলো শিল্পীর অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠান হয়নি। লুর্পণা মুৎসুদ্দি লোপা চট্টগ্রাম অঞ্চলে লালন সংগীতের এত বড় অনুষ্ঠান হওয়ার চট্টগ্রামবাসী গর্ব করার মত।
বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রামের জিএম নুর আনোয়ার হোসেন (রনজু) বলেন চট্টগ্রামে এত বড় লালন সংগীতের আয়োজন হওয়ার খুব কঠিন বিষয়। যারা এ ধরনের আয়োজন করেছে তারা প্রশংসার দাবিদার। লালন পরিষদ চট্টগ্রাম কঠিন একটা বিষয় নিয়ে প্রতিকুল পরিবেশে আজকের এ আয়োজন। স্বভাবিক পরিবেশে এ অনুষ্ঠান হত চট্টগ্রামবাসী ভালো একটা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারত।