রবিবার - ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে ডেন্টাল ইউনিট একাডেমি অনুমোদন: সফলতার দাবীদার মোরশেদ – আজাদ

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে ডেন্টাল ইউনিট একাডেমি অনুমোদন: সফলতার দাবীদার মোরশেদ – আজাদ

মো.কামাল উদ্দিন

মা ও শিশু হাসপাতাল নির্বাচনের প্রাক্কালে ঐতিহাসিক অর্জন: ডেন্টাল ইউনিট অনুমোদনে মোরশেদ ও আজাদের ভূমিকা অবিস্মরণীয় বলা যায়। এমন একটি সময়ে এই সফলতা অর্জিত হয়েছে সেই সময়ে
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জীবন সদস্যদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবে হাসপাতালের নতুন নেতৃত্ব। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই উত্তাপ ছড়িয়েছে হাসপাতালের পরিবেশ, নানা বিতর্ক এবং আলোচনা উঠে এসেছে সামনে। তবে এসবের মাঝেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি ঐতিহাসিক অর্জন এনে সবাইকে চমকপ্রদ উপহার দিয়েছে—ডেন্টাল ইউনিটের একাডেমিক অনুমোদন।
ডেন্টাল ইউনিটের অনুমোদন এই হাসপাতালের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে, বিশেষ করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং এবারের সভাপতি প্রার্থী মোরশেদ ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ ও ড. সানাউল্লাহ সহ তাদের পুরো প্যানেলের আন্তরিক ভুমিকার কারণে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে ডেন্টাল ইউনিট: একাডেমিক অনুমোদনের মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সূচনা চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসা খাতে নতুন মাইলফলক স্থাপন করতে যাচ্ছে। বেসরকারি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের জন্য একাডেমিক অনুমোদন প্রদান করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হবে, যেখানে ২০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় মন্ত্রণালয়ের শর্তাবলী:
ডেন্টাল ইউনিটের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। এসব শর্ত পূরণ করে কলেজটিকে একটি আধুনিক ও মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে পূরণযোগ্য শর্তাবলী: ১. শিক্ষক ও জনবল নিয়োগ:
বিএমএন্ডডিসি’র (বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল) শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় শিক্ষক এবং অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। নিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়গুলো স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে।
২. অবকাঠামো ও প্রযুক্তি:
কলেজ ও হাসপাতালের প্রস্তাবিত অবকাঠামোকে সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের আদলে পুনর্বিন্যাস করতে হবে। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও শিক্ষা উপকরণ দিয়ে ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরি সাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩. আর্থিক নিশ্চয়তা:
মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রতিষ্ঠানটির নামে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ স্থায়ী আমানত হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখতে হবে। এর একটি কপি মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।
৪. সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা:
আউটডোর পরিষেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি:
ডেন্টাল ইউনিটের শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রমের আগে সংশ্লিষ্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি নিতে হবে এবং বিএমএন্ডডিসি থেকে নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করতে হবে।
৬. আইন মেনে পরিচালনা:
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২-সহ প্রযোজ্য সকল বিধি-বিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। শর্তভঙ্গের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে কলেজ কর্তৃপক্ষের ওপর থাকবে।
চট্টগ্রামের চিকিৎসা শিক্ষায় সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে ডেন্টাল ইউনিট চালুর মাধ্যমে চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ডেন্টাল শিক্ষার আরও সুযোগ সৃষ্টি হলো। এই উদ্যোগ চট্টগ্রামের চিকিৎসা শিক্ষার খাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা প্রদানের পথ সুগম করবে। অংশীদারদের ভূমিকা ও দায়িত্ব: স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিএমএন্ডডিসি সহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশিত শর্তাবলী বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বার্তা: স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মাহবুবা বিলকিস স্বাক্ষরিত এক আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্দেশিত নীতিমালা যথাযথভাবে মেনে না চললে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দায়ী থাকবে। এই ডেন্টাল ইউনিটের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে চট্টগ্রাম।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn