চট্টগ্রামে প্রশিকা তিন উন্নয়ন এলাকার জোনাল ম্যানেজার (ঝেড এম) নৃপুতি দে এর স্বেচ্ছাচারিতা’র অবসান চেয়েছেন প্রশিকা বিভিন্ন উন্নয়ন এলাকার কর্মী ও সমিতির সদস্যরা। দীর্ঘদিন একই পদে থেকে কর্মীদের ধমক ও বদলির ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তার স্বেচ্ছাচারীর বলি ও চাকরিও হারিয়েছেন অনেকেই। ভুক্তভোগী কর্মীরা অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, নৃপুতি দে প্রথমে কর্মী টার্গেট করেন। টার্গেট হওয়া কর্মীর পিছনে লেগে থাকেন ভুলত্রুটি বের করতে। একটু ভুল হলেই সংশোধন করার আগেই ধমক আর বদলির ভয় দেখানো শুরু করেন।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ক্যাশিয়ারে নিয়োগ পাওয়া এক কর্মীকে নিয়োগের দুই দিনের মধ্যেই বদলি করেন। অপরাধ হলো সেই কর্মী নিয়োগের দিনই লোন দেওয়াকালীন বিতরণ পেপারে কেন স্বাক্ষর করলেন। এমন অনেক নজিরবিহীন কাজ করেছেন নৃপুতি দে যার সাক্ষী প্রশিকার অনেক কর্মচারী কর্মকর্তা। এ সময় ভুক্তভোগী কর্মীরা প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও জানান সংবাদকর্মীদের। খবর নিয়ে জানা গেছে, লোন নিয়েছে এমন সদস্যদের অফিসে এনে দরজা বন্ধ করে আটকিয়ে রেখে মুক্তিপণ হিসেবে সেই পাওনা লোনের টাকা আদায় করছে প্রতিনিয়ত। এমনকি টাকা আদায় করতে বিকল্প হিসেবে মামলা আর পুলিশের ভয় দেখানোর ফলে সহজসরল অনেক সদস্য ভয়ে অসুস্থ হয়ে মেডিকেল ভর্তি হয়ে্যেন। আবার অনেকে বাড়িঘরছাড়া হয়েছেন। বিডি নিউজ ২৪ডট কম পত্রিকার খবর থেকে জানা যায়, বিগত ২০১৫ সালে স্বেচ্ছাচারিতা’র অবসান চেয়ে কাজী ফারুক আহম্মদ মনগড়া ও বাস্তবতাবিবর্জিত প্রশাসনিক, ঋণ ও সঞ্চয় নীতিমালা তৈরি করা এবং গরিব মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের জমাকৃত সঞ্চয় ফেরত না দিয়ে প্রতারণামূলক নিয়মনীতি প্রণয়ন করার অপরাধে এমনকি কর্মী ও গরিব মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার কারণে আন্দোলনে নেমেছিলেন প্রশিকার কর্মীরা।