বৃহস্পতিবার - ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৭ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে কারাগারে মৃত্যু : রহস্যময়

চট্টগ্রামে কারাগারে মৃত্যু : রহস্যময়

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফারজান হোসেন সজীব (৩৬) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ফারজান হোসেন সজীব, নগরের বকশিরহাট এলাকার রামজয় মহাজন লেইনের বাসিন্দা মো. রফিকের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়।
ফারজান হোসেন সজীবের চাচা আবু তালেব বলেন, সজীবকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের বহু কালো দাগ রয়েছে।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে কারাগার থেকে কল দিয়ে সজীব স্ট্রোক করে বলে জানিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরে চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করা হলে সজীবকে মোবাইল ফোনে কথা বলিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হলে দিতে পারিনি।
৩০ মিনিট পরে সজীবের মৃত্যু হয়েছে বলে কারাগার থেকে জানানো হয়। আমাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে আসতে বলেন। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সজীব কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। দলীয় পদ-পদবি নেই। বকশিরহাট এলাকা থেকে আড্ডা দেওয়ার সময় টহল পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়ে ছিল। থানা থেকে ডাকাতির মামলায় কারাগারে ছিলেন।
গত ২৬ মার্চ রাতে নগরের কোতোয়ালী থানা পুলিশের অভিযানে সজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে ডাকাতির প্রস্তুতির একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন জানান, আজ (শুক্রবার) সকালে সজীব কারাগারের যমুনা ভবনের সাত নম্বর ওয়ার্ডে বুকে ব্যাথা অনুভব করার কথা জানান। পরে কারাগারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সজিবকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সজীবের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ২৭ মার্চ থেকে যমুনা ভবনের সাত নম্বর ছিলেন। পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে যমুনা ভবনের সাত নম্বর সেলে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। সেখানে সকালে মারামারির কোনো অভিযোগ বা প্রমাণ পাইনি। অসুস্থ সজীব নিজে হেঁটে কারা হাসপাতালে গিয়েছিল। চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পর গাড়ি থেকে নেমে সে হেঁটেই হাসপাতালে ঢুকেছিল। তবে পরিবার ও তার স্ত্রী দাবি করে জানান, সজীবকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তারা এ নারকীয় হত্যার বিচারের দাবি জানান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn