শনিবার - ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২২শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মধ্যে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আর কোন বাধা নেই এবং আপিল বিভাগে তাদের আপিল খারিজ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মধ্যে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আর কোন বাধা নেই এবং আপিল বিভাগে তাদের আপিল খারিজ

 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী রক্ষার্থে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (HRPB) একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। উক্ত রিট পিটিশনে আদালত রায় দিয়ে নদীর ভিতরে থাকা সকল স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। রায়ের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক অবৈধ স্থাপনা স্থাপনকারীদের উচ্ছেদের নোটিশ প্রদান করেন। উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির পর জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি হাইকোর্ট একটি রীট দায়ের করেন এবং স্থিতি অবস্থার আদেশ প্রাপ্ত হন। উক্ত রিটে HRPB পক্ষভুক্ত হয়ে রিট খারিজের আবেদন জানান। আদালত শুনানি শেষে রায় দিয়ে বলেন যে, হাইকোর্ট কর্তৃক প্রদানকৃত কর্ণফুলী নদী রক্ষার রায়ের নির্দেশনা পালনে কোন বাধা নেই। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি আপিল বিভাগে একটি আপিল দায়ের করেন।

শুনানি শেষে আজ বিচারপতি মোহাম্মদ আশফাকুল ইসলামের আপিল বিভাগের বেঞ্চ মৎস্যজীবী সমিতির আপিল খারিজ করে দেন। রায়ের পরে কর্ণফুলী নদীর ভেতরে থাকা জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আর কোন বাধা নেই।

শুনানিতে HRPB এর পক্ষের কৌশলি সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন যে, কর্ণফুলী নদী রক্ষার্থে আদালতের রায় হয়ে যাওয়ার পরেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবৈধভাবে নদী সীমানায় জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতিকে লীজ প্রদান করে ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করেছে। তিনি আরও বলেন আপিল বিভাগের এক রায়ে নদীর জায়গা লিজ না দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও এবং হাইকোর্টের রায়ে নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মৎস্যজীবী সমিতিকে লিজ প্রদান করেছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তিনি বলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের কাজ হলো কর্ণফুলী নদীকে বহমান রাখা যাতে জাহাজ চলাচলে কোন বাধা সৃষ্টি না হয়। কিন্তু তারা অবৈধ উপার্জনের জন্য কর্ণফুলী নদীর জায়গা জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতিকে লিজ প্রদান করেছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

আপিলকারী পক্ষের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন যে, জমির মালিকানা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত আপিলকারীকে উচ্ছেদ করা যায় না এবং তিনি আরো বলেন যে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি কর্তৃপক্ষের থেকে বৈধ উপায়ে এই জায়গা লিজ গ্রহণ করেছে।

HRPB-এর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর. হক এবং জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দীন খোকন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn