সোমবার - ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

গোপালগঞ্জে সেনা ও পুলিশ- প্রশাসন পরিচয়ে মুঠোফোনে প্রতারণা

গোপালগঞ্জে সেনা ও পুলিশ- প্রশাসন পরিচয়ে মুঠোফোনে প্রতারণা

 

গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইদানীং একদল প্রতারক চক্রের সংঘবদ্ধ দলের ব্যপারে শোনা যাচ্ছে। দিন দিন এদের প্রভাব বেড়েই চলেছে।এরা বেছে নিয়েছে সাধারণ ব্যবসায়ী, বিকাশ ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষকে। প্রতারক চক্রের দল সাধারণত মুঠোফোনে ফোন করে গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া হত্যা মামলা সহ নানা ধরনের মামলার ভয় দেখিয়ে হুমকি ও বড় রকমের দাবি করছে বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায় প্রতারকরা সেনা বাহিনী, পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন শাখা তার মধ্যে ডিএসবি, ডিবি, এর পরিচয়ে ফোন করে মামলার ভয় দেখিয়ে হুমকি ও বড় রকমের টাকা দাবি করছে। প্রতারকরা যে কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ফোন করছে সে ঐ কর্মকর্তার বা তাদের নাম্বার নয়।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী হরিদাসপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মূন্সী মকিদুজ্জামান (মকিদ)বলেন, গতকাল দুপুরে শফিক নামক এক ব্যক্তি ডিএসবি গোপালগঞ্জ সদর পরিচয়ে মুঠোফোনে গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া ঘোনাপাড়া মোড়ে সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা দিদার হত্যা মামলায়ি আমার নাম দেওয়া হচ্ছে এবং কপিটি ঢাকায় পাঠানো হবে। তারা আরো বলেন যদি মামলা থেকে রেহাই পেতে চান তাহলে আমাদের ডিএসবি ইনচার্জ এর সাথে টাকা নিয়ে যোগাযোগ করে টাকা পাঠান নাম কেটে যাবে।ডিএসবি অফিসার শফিক পরিচয়ে নাম্বার থেকে আমাকে ফোন দিয়েছিল তা-০১৭৭০০১০###, টাকা নিয়ে যে ডিএসবি ইনচার্জ এর কাছে যেতে বলেছিল তার মোবা. নং-০১৩২০৩৯৫### ।
ভুক্তভোগী বিকাশ ব্যবসায়ী গোপালগঞ্জ টেলিকমের মালিক মো. মামুন গণমাধ্যম জানান, হঠাৎ আমার ব্যানারে টাঙানো বিকাশ নং ০১৭২৬৩০৩### থেকে গোপালগঞ্জ জেলার সামরিক বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প এর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চার হাজার টাকা বিকাশ করতে দিয়েছে টাকাটা তাড়াতাড়ি পাঠান তানা হলে আমি সেনা সদস্যদের পাঠাবো। অমি দেখলাম আমার টেবিলে নাম্বার লেখা টুকরা কাগজটিও আছে। এরূপ কোনো লেনদেন আমি আজ করি নাই বলে আমার সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে আমার পরিচিত সাংবাদিকদের জানালে ওরা যোগাযোগ করলে ওরা ফোন বন্ধ করে রাখে।
গত কয়েকদিন পূর্বে মিন্টু নামক এক হাইড্রোলিক ট্রলি চালককে ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তার পরিচয়ে টাকা দাবি করেন। তানা হলে ওকে মাদক মামলায় ঢুকিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয় । পরবর্তীতে জানা যায় ফোন নম্বরটি ডিবি কর্মকর্তার না।
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে একদল সু সংঘটিত প্রতারক চক্র সোচ্চার। সাধারণ মানুষ আতঙ্ক ও বিভ্রান্তিতে ভুগছে। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা নেওয়া্, ভয় ভীতি প্রদর্শন করাটা বেকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। ব্যপারটি নজরে এনে এই প্রতারক চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনাসহ বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য গোপালগঞ্জ জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn