
গুজরাটে চরণামৃতে “বিষ” মিশিয়ে ১২টি খুন ! পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু অভিযুক্ত তান্ত্রিকের
চরণামৃতে ” বিষ” মিশিয়ে পরপর ১২টি খুন করেছিলেন। এবার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হল অভিযুক্ত সেই তান্ত্রিকের। রবিবার (৮ ডিসেম্বর ) ভারতের গুজরাটের সরখেজ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি তান্ত্রিকের। পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, চলতি মাসের শুরুতে একব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় ওই তান্ত্রিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে পুলিশের জেরায় আরও ১২টি খুনের কথা স্বীকার করে নেন ধৃত। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু রবিবার (৮ ডিসেম্বর ) অভিযুক্ত হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষাণ করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতব্যক্তির নাম নাভাল সিংহ চাভদা। গত ৩ ডিসেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে তন্ত্র সাধনার নামে লোক ঠকানো এবং নরবলির মতো নানা গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, তন্ত্র সাধনার স্বার্থে একাধিক খুন ও করেছেন ওই তান্ত্রিক। সম্প্রতি চরণামৃতে বিষাক্ত রাসায়নিক মিশিয়ে খাইয়ে আরও একব্যক্তিকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন নাভাল। সে সময়েই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। পরে জেরায় জানা যায়, একই পদ্ধতিতে আরও ১২টি খুন করেছেন তিনি। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার শিবম বর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিকারদের জলের সঙ্গে সোডিয়াম নাইট্রাইট নামের বিষাক্ত রাসায়নিক মিশিয়ে খাওয়াতেন ওই তান্ত্রিক। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তেন তাঁরা। তারপর মৃতদেহগুলি তন্ত্রসাধনার প্রয়োজনে “উৎসর্গ ” করতেন। এইভাবে আমদাবাদে ১জন, সুরেন্দ্রনগরে ৬জন। রাজকোটে ৩ জন, ওয়াংকানে ১ জন এবং আনজারে ১ জনকে খুন করেছেন ওই তান্ত্রিক। সুরেন্দ্রনগরের একটি পরীক্ষাগার থেকে সোডিয়াম নাইট্রাইট কিনতেন নাভাল। সোডিয়াম নাইট্রাইট সাধারণত ড্রাই ক্লিনিংয়ের কাজে ব্যবহার হয়। কিন্তু বিষাক্ত এই রাসায়নিক খাবারের সঙ্গে শরীরে চলে গেলে ২০ মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে। ঘটনায় এখনও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পর পর ১২টি খুনের ঘটনায় ওই তান্ত্রিক ছাড়া আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Post Views: ৯৮