
খোন্দকার নিজাম উদ্দিন সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মো: গোলাম মাওলা
নোয়াখালীর সেনবাগে প্রতারক চক্রের জালে সর্বোচ্চ হারিয়েছে মো: গোলাম মাওলা।
বুধবার ( ১৯ মার্চ ) রাত সাড়ে ১০টায় সেনবাগ পৌর শহরে স্টুডিও ডালাসের বিপরীতে দরজা গ্যালারীতে আবারও সংবাদ সম্মেলনে খোন্দকার নিজাম উদ্দিন সাংবাদিক এর প্রতারণার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী বলেন, আমি মো: গোলাম মাওলা, ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের উত্তর মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবদুল মন্নান এর বড় সন্তান , সেনবাগ বাজারের ব্যবসায়ী। প্রতারকদের প্রলোভনে পড়ে অষ্টেলিয়া যাওয়ার লোভে ১৬,০০০০০ ( ষোল লক্ষ ) টাকা গত ০৮/০১/২০২৪ ইং তারিখে প্রতারক (১) ডোমনাকান্দি সোবহান চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও সেনবাগ কলেজের সাবেক ভিপি মোহন এর বড় ভাই শফিকুল ইসলাম টিপু, (২) খোন্দকার নিজাম উদ্দিন সাংবাদিক ও (৩) খোন্দকার নিজাম উদ্দিন এর ভাতিজা খোন্দকার পলাশ যোগসাজশে হাতিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, প্রতারক টিপু ৩,০০,০০০/= ( তিন লক্ষ ) টাকা বিগত জানুয়ারী-২০২৫ ইং সালে আমাকে ফেরত দেয়। বাকী তের লক্ষ টাকা খোন্দকার নিজাম উদ্দিন ফেরত দিবে বলে স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে মুছলেকা দেয় এবং সেনবাগ ইসলামী ব্যাংক এর ৪টি পৃথক তারিখ দেখিয়ে ৪টা চেকে স্বাক্ষর করে দেয় কিন্তু ১ম চেক ৭,০০,০০০/= ( সাত লক্ষ ) টাকা গত ১৭ মার্চ সোমবার ইসলামী ব্যাংক, সেনবাগ শাখায় উঠাতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে খোন্দকার নিজাম উদ্দিন এর একাউন্টে কোন টাকা নেই এবং দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কোন ধরনের লেনদেন হচ্ছে না। চেকের তার স্বাক্ষরেও গড়মিল রয়েছে এবং ১৯ মার্চ তারিখে ইসলামী ব্যাংক, সেনবাগ শাখা ৭,০০,০০০/=(সাত লক্ষ) টাকার চেক বাতিল করে স্ট্যাটমেন্ট দেয়। গোলাম মাওলা বলেন, এতেও প্রমানিত হয় যে, খোন্দকার নিজাম উদ্দিন সাংবাদিক প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রতারণার স্বীকার ভুক্তভোগী গোলাম মাওলা আরও বলেন, এই প্রতারক চক্রের জালে যেন আর কেউ আটকা না পড়ে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আমার থেকে নেয়া টাকা উদ্ধারে দেশবাসী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এ প্রতারণার বিচার সহ দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর দাবী জানাচ্ছি।
অপর দিকে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত খোন্দকার নিজাম উদ্দিন সাংবাদিক এ প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোনে বলেন, আমার ভাতিজা খোন্দকার পলাশ ও ভিপি মোহন এর বড় ভাই শফিকুল ইসলাম টিপু’র ব্যাপারে স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমাকে কৌশলে বাধ্য করে আমার থেকে মুছলেকা ও চেক নেয়।