শুক্রবার - ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১লা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করে পুরস্কৃত করেছেন জিয়া : শেখ হাসিনা

পনেরো আগস্টের আগে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যারা ছিল, তার বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করেছে, ঘুমিয়েছে তারাই বেইমানি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সেই বেইমান-খুনিদের পুরস্কৃত করেছে জিয়াউর রহমান।
আজ ১৬ আগস্ট বুধবার রাজধানীর বিআইসিসিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। এরপরই সংবিধান সংশোধন করে তাদের বিচার হবে না বলে আইন পাস করেছে। খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করে পুরস্কৃত করেছে, তাদের চাকরি দিয়েছে, অর্থ দিয়েছে, সম্পদ দিয়েছে।
জিয়ার পর এরশাদও একই কাজ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি খুনি ফারুক-রশীদদের রাজনৈতিক দল করার সুযোগ দেন। ১৯৮৮ সালে এরশাদ যে নির্বাচন করে, ওই নির্বাচনে ফারুককে রাষ্ট্রপতি পদ দেয়ার প্রস্তাব দেয়।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জয় বাংলা স্লোগান ও ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঘাতকরা ইতিহাস বিকৃত করে। যে জয় বাংলা স্লোগানে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল, সেই স্লোগান নিষিদ্ধ করে দেয়। অথচ এই ঘাতকরা আমাদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করেছে, ঘুমিয়েছে। আবার তারাই বেইমানি করেছে।’
জিয়াউর রহমান মানুষের ভোট, ভাত ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তখন মতপ্রকাশের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। একটা মাত্র রেডিও ও হাতে গোনা কয়েকটি পত্রিকা সব তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনীর হাজার সৈনিককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। একটা করে ক্যু করেছে, আর হত্যা করেছে। তাদের বিচারও হয়নি। সরাসরি ফাঁসি হয়েছে। এমনও দিন গেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একই সঙ্গে ১০ জন করে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। সারা দেশের কারাগারে এমন হয়েছে। সবাইকে যে ফাঁসি দিয়েছে এমন নয়, কাউকে কাউকে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে।
উর্দি পরে ক্ষমতায় বসে নিজেকে রাজনীতিবিদ বানানোর চেষ্টা করেন জিয়া। তিনি হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে নির্বাচন দেন, সংবিধান স্থগিত করে তিনি ওই নির্বাচন করেন। ভোট কারচুপি, ভোট চুরি তো তখন থেকেই শুরু। এরপর বিএনপি নামে দল গঠন করে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn