
অতিরিক্ত জলাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রাম নগরীর লাখো মানুষ পানিবন্ধি
ক্ষতিগ্রস্হ মানুষের ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের দাবী
চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যরিস্টার মনোয়ার হোসেন ও মহাসচিব মো.কামাল উদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন,
২০১৫ সাল হতে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী করায় সরকার ২০১৭ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রায় ছয় বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও নগরীর জলাবদ্ধতা অদ্যাবধি নিরসন হয়নি। যার দরুণ অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। গত কয়েক দিন যাবত অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় পুরো নগরী পানিতে তলিয়ে যায়।
লক্ষ লক্ষ মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। এ জলাবদ্ধতার কারণে, চট্টগ্রাম শহরের বৃহত্তর বাণিজ্যিক এলাকা চাকতাই, খাতুনগন্জ,বহদ্দার হাট, মুরাদপুর, বিরবির হাট, ষোলকবহর,টেরি বাজার, রাজাখালী, নতুন চাকতাই, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট,বন্দর, হালি শহর, চকবাজার, পাঁচলাইশ পাসপোর্ট অফিস এলকা, কাতাল গন্জ,পতেঙ্গা, বায়েজিদ, জেলা পুলিশ লাইনসহ অসংখ্য এলকা আজ কয়েক দিন ধরে পানিতে ডুবে আছে। অনেকের বাসায় চুলা জ্বালাতে পারছে না। সন্তানদেরকে স্কুল কলেজে পাঠাতে পারছে না। আমরা সব কিছু বিবেচনা করে সরকার তথা যথাযত কর্তৃপক্ষকে বিশেষ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে নগরীর ক্ষতিগ্রস্হ মানুষের জন্য অন্ততপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতি পূরণ দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
অন্যদিকে দীর্ঘ ৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও কেন জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ শেষ করতে পারে নি তা খতিয়ে দেখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পাশাপাশি কালুরঘাটে নতুন সেতু বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে কালুরঘাট সেতু মেরামতের জন্য বন্ধ রাখার পর নদীতে ফেরি চালু করা হয়েছে। সেই ফেরি গুলো অপরিকল্পিতভাবে চলাচল করার কারণে সাধারণ মানুষেরা চরমভোগান্তিতে পড়েছেন। তাই পরিকল্পিতভাবে ফেরি চালু করার জোর দাবী করছি।