রবিবার - ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ক্যান্সারের লক্ষণ

ক্যান্সারের লক্ষণ

 

মরণব্যাধি বলা হয় ক্যান্সারকে। ক্যান্সার এমন একটি জটিল রোগ যা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে শরীরের কোনও অংশে কোষের অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়াকে ক্যান্সার বলা হয়। সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে এবং সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ক্যান্সার কতটা দ্রুত ছড়াবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। এটি কতটা প্রাণঘাতী হতে পারে তা কোন স্টেজে ধরা পড়ছে তার পাশাপাশি এর লক্ষণ কতটা ধরা পড়ে এর উপরেও নির্ভর করে। তবে কিছু লক্ষণ আগে থেকে বুঝলে এর চিকিৎসা নেওয়া সহজ হয়।
জ্বর: ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের সবচেয়ে সাধারণ একটি উপসর্গ হচ্ছে জ্বর। অবশ্য যে স্থানে ক্যানসার উৎপন্ন হয়েছে সেখান থেকে দেহের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়া শুরু হলে তখন প্রায়ই জ্বর দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে জ্বর ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গও হতে পারে। যেমন লিউকেমিয়া বা লিম্ফোমা।
ক্লান্তি: ক্লান্তি বোঝানো হয়েছে চরম ক্লান্তিভাব যা বিশ্রাম নেয়ার পরও দূর হয় না। ক্যান্সার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু ক্যান্সার যেমন লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে শুরুর দিকেই ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
ত্বকে পরিবর্তন: ত্বকের ক্যানসার ছাড়াও আরও কিছু ক্যানসার রয়েছে যাতে আক্রান্ত হলে ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। এর লক্ষণ ও উপসর্গের মধ্যে রয়েছে, ত্বক কালো হয়ে যাওয়া বা হাইপারপিগমেনটেশন ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিস ত্বক লাল হয়ে যাওয়া। চুলকানি মাত্রাতিরিক্ত চুলের বৃদ্ধি।
রক্তপাত: ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় কিংবা তা ছড়িয়ে পড়ার পর অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। কাশির সঙ্গে রক্তপাত ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। অন্যদিকে যদি মলের সঙ্গে রক্তপাত হয় তাহলে এটি মলাশয় বা মলদ্বারে ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
শরীরের যেকোনো স্থান শক্ত হয়ে যাওয়া: অনেক ক্যান্সার ত্বকের মাধ্যমে শনাক্ত করা যেতে পারে। এ ধরণের ক্যান্সার সাধারণত স্তন, অণ্ডকোষ, গ্রন্থি এবং শরীরের নরম টিস্যুতে হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে দেহে শক্তভাব বা মাংস জমে আছে— এ ধরণের অনুভূতি হয়। এটা এসব ক্যান্সারের প্রাথমিক বা বিলম্বিত উপসর্গ হতে পারে।
টানা কাশি: টানা কাশি ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এ ছাড়া কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন আসলে তা স্বরযন্ত্র বা থাইরয়েড গ্রন্থিতে ক্যান্সারের উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে।
৩৮ ধরনের ক্যানসারে মানুষ আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলী, শ্বাসনালী ও জরায়ুমুখ ক্যানসার রোগীর সংখ্যা বেশি। ২০৫০ সালে ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি নতুন ক্যানসার রোগী শনাক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn