রবিবার - ১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২০শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলে মাধ্যমিকে দিশা দপ্তরী প্রাপ্ত নম্বর ৬১৩

কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলে মাধ্যমিকে দিশা দপ্তরী প্রাপ্ত নম্বর ৬১৩

 

এবার এগিয়ে এলো মাধ্যমিকে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল।বড়ই অভাবের সংসার। কোনক্রমে দিনযাপন হয়। বাবা-মা সেভাবে শিক্ষিত ছিলেন না। অন্ধকার ঘরে চাঁদের আলোর মত পিছিয়ে পড়া তপশিলি জাতির দিশা দপ্তরী(যোগাযোগের নম্বর: 9064166114) পরিবারের কাছে এক নতুন আশার আলো। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের মথুরাপুর কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল থেকে মোট ৭০০ এর মধ্যে ৬১৩ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছে। অংক ছাড়া সাতটি বিষয়ের মধ্যে প্রতিটি বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়েছে সে। তার প্রাপ্ত নম্বর বাংলায় ৯৪, ইংরেজিতে ৮০, অংকে ৭৭, পদার্থ বিজ্ঞানে ৯০, জীবন বিজ্ঞানে ৮৫, ইতিহাসে ৯৪ এবং ভূগোলে ৯৩।
বাবা বিশ্বনাথ দিন মজুর এবং মা সুমিত্রা বাড়ির কাজ সামলান। দিশার বড় দুই ভাই ঐ কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দিশাও ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চায় সে। অ্যাজবেসটোসের ছাউনি দিয়ে বাড়িতে থাকা দিশার কথায় ,”যে কোন মূল্যে আমাকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। আমার বাবা-মার দারিদ্রতা ঘোচাতে হবে। তার জন্য উচ্চমাধ্যমিকে কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে আগামী দিনে আরো ভালো ফলাফল করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাব। বাড়ির আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কি করে এই সীমাবদ্ধতা কাটাবো বুঝে উঠতে পারছি না। কোন সহৃদয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আমার পড়াশোনার খরচ চালানোর দায়িত্ব নেন, আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব।” কৃষ্ণচন্দ্র পুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, চন্দন মাইতি বলেন, “ঐ ছাত্রীটি কঠোর পরিশ্রম করে এই সাফল্য এনেছে। আগামী দিনে ওর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। আমরাও সাধ্যমত ওর পাশে বিগত দিনে দাঁড়িয়েছি, আগামী দিনেও থাকার চেষ্টা করব। এত ভালো রেজাল্ট করার জন্য পাড়া প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে আশীর্বাদ করলো।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn