
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংকট নিয়েই করোনা ওয়ার্ড চালু
করোনার প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তুতি নিয়েছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল। ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে করোনা ওয়ার্ড। তবে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় বলছে, মন্ত্রণালয়ের আদেশ পেলেই প্রস্তুতি নেবেন তারা।
সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টা নতুন করে কোনো আক্রান্ত রোগী না থাকলেও সাতজন পরীক্ষা করেছেন। এছাড়াও শুধু জুন মাসে কুমিল্লায় ৭৮জন পরীক্ষা করেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ১৩জন । এছাড়াও কুমিল্লায় এখন পর্যন্ত করোনায় একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচলাক ডা. নিশাত সুলতানা বলেন, দ্বিতীয় ধাপ শুরুর পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৫০০ করোনা কিট পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে। এই হাসপাতালে গড়ে ৫ থেকে ৭ জন রোগী পরীক্ষার করছে। আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন দুইজন। ইতিমধ্যে ১৭ জন করোনা রোগী ভর্তি রাখার জন্য ওয়ার্ড প্রস্তুত করেছি। সেটি সম্পূর্ণ অন্য ওয়ার্ড থেকে আলাদা ও গোপনীয় রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও ৪০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদিও তাতে রয়েছে লোকবল সংকট। লোকবল সংকট সমাধান করতে অধিদপ্তরকে জানিয়েছি। এছাড়া ওষুধ ও যাবতীয় জিনিসপত্রও ধীরে ধীরে জোগাড় করছি। এছাড়াও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহে কিছু ত্রুটি রয়েছে। তবে আশা করা যায় সেটি দুয়েকদিনের মাঝেই সমাধান হবে।
সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশির আহমেদ জানান, উপজেলা পর্যায়ে করোনার তেমন কোনো প্রস্তুতি নেই। জেলাতেও প্রস্তুতি নেয়া হয়নি। আমরা নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে পরিমাণ কিট আছে, তাতে আরও ৫ থেকে ১০ দিন পরীক্ষা করতে পারব। তবে এখনকার মতো আক্রান্তের হার যদি বেড়ে যায় তাহলে হয়তো কম সময় যাবে।
তিনি বলেন, জেলায় সবার আগে মেডিকেল কলেজগুলো তাদের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে। আমরা পরিস্থিতি আরও দেখব। জেলা প্রশাসনের সাথেও আমাদের আলোচনা হয়েছে। আশা করি, পরিস্থিতির সাথে আমাদের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হবে।