বুধবার - ১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

কুমিল্লায় কোরবানির পর হাত পা কেটে হাসপাতালে অর্ধশত

কুমিল্লায় কোরবানির পর হাত পা কেটে হাসপাতালে অর্ধশত

 

কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে কোরবানির পর পশুর মাংস হাড় কাটতে গিয়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ২৫ জন। এছাড়া দুপুরে একটা পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা বেশিরভাগই যুবক। শখের বশে কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গিয়ে তারা আহত হয়েছেন। তবে আহতদের মধ্যে কয়েকজন পেশাদার কসাইও আছেন।
আহতরা বলছেন, মাংস কাটাকাটিতে অনভিজ্ঞ হওয়ায় হাত পা কেটেছে তাদের। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদেরকে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
কুমিল্লা সদর উপজেলার ধনপুর ইমরান আহমেদ আহমেদ বলেন, ঈদের খুশিতে বাড়ির সবাই মিলে কোরবানি দেই। তারপর মাংস কাটার সময় পিছলে আমার আঙুলে লাগে। প্রথমে টের পাইনি, পরে দেখি রক্ত ঝরছে। হাসপাতালে আসার পর তিনটি সেলাই দিয়েছে।
সদর উপজেলার ভুবনঘর এলাকার চল্লিশোর্ধ্ব কাশেম তালুকদার গরুর হাড় কাটতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন হাতের কব্জিতে। তিনি বলেন, আল্লাহ বাঁচিয়েছে- আরেকটু জোরে লাগলে আমার হাতের কব্জি হয়তো আলাদা হয়ে যেত। জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে এখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
টিক্কার চর এলাকা থেকে আসা মো. রাসেল বলেন, অভিজ্ঞতা ছাড়া মাংস কাটতে গেলে এরকম দুর্ঘটনা ঘটবেই। কারণ মাংস কাটাকাটির সময় ছুরি বা চাপাতি পিছলে যায়। তাই অভিজ্ঞতা ছাড়া এ কাজে না আসাই ভালো।
ঝাউতলা থেকে আসা পেশাদার কসাই জাহঙ্গীর আলম বলেন, হাড্ডি কোপাতে গিয়ে আমার পায়ে চাপাতি লেগেছে। সদর হাসপাতালে রাখেনি। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হবে।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার মো. জোবায়ের জানান, আহত যারা এসেছেন তারা বেশিরভাগই একদিনের জন্য মাংস কাটাকাটি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সবারই প্রায় হাতের আঙুলে ও পায়ে আঘাত। শনিবার ঈদের দিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আমরা অন্তত ২০ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। গুরুতর আহত যারা তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn