সোমবার - ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১১ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

কুমারটুলিতে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা স্বরস্বতী প্রতিমার কাজ শেষ করার, অন্যদিকে পুজো উদ্যোক্তাদের ভীড়

কুমারটুলিতে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা স্বরস্বতী প্রতিমার কাজ শেষ করার, অন্যদিকে পুজো উদ্যোক্তাদের ভীড়

 

আজ ২৮ শে জানুয়ারী মঙ্গলবার, কুমারটুলিতে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততার চোখে পড়ার মতো সরস্বতী প্রতিমার তাই শেষ করার জন্য, অন্যদিকে বাড়ির পুজো থেকে শুরু করে, ক্লাবের পূজা উদ্যোক্তারা ভীর জমিয়েছেন কুমারটুলিতে, এমনটাই ক্যামেরায় ধরা পরলো। কোথাও চলছে প্রতিমা কাজ শেষ করার তোরজোর, আবার কোথাও এখনো প্রতিমায় মাটি দেওয়া চলছে।

প্রতিটি কুমারটুলি শিল্পীরা জানালেন, এবারে অনেক আগে থেকেই প্রতিমার বায়না দিয়ে গেছে, কারণ তারা বায়না দেওয়ার সময় জানিয়ে গেছেন, তাদের প্রতিমা আগে দিয়ে দিতে হবে।, আবার কেউ কেউ ১লা ফেব্রুয়ারী থেকে প্রতিমা নিয়ে যাবেন, তবে বেশির ভাগই বাড়ির প্রতিমা নিয়ে যাচ্ছেন, খুব কম ক্লাবের প্রতিমা যাচ্ছে। কারণ মৃৎশিল্পীরা জানালেন আমাদের প্রতিমা দেশের বাইরেও যায় , তাই আমাদেরকে আগে থেকে কাজ শেষ করতে হয়।

এবারে প্রতিমার সর্বনিম্ন দাম রেখেছেন পনেরশো টাকা থেকে শুরু, এরপর ২০০০, আড়াইহাজার, পাঁচ হাজার , দশ হাজার থেকে আপার 50000 টাকা পর্যন্ত প্রতিমার মূল্য রয়েছে। তাহারা জানালেন আমাদের কিছু করার নাই, যেভাবে জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে বাধ্য হয়েছি আমাদেরও প্রতিমার দাম বাড়াতে, তবে আমাদের কিছু কিছু পূজো উদ্যোক্তা রয়েছেন, যাহারা আমাদের কাছে ছাড়া প্রতিমা নেন না,। তাই আমরা সরস্বতী সরস্বতী প্রতিমা বিভিন্ন সাইজের করে রেখেছি।

পূজো উদ্যোক্তারা জানালেন, প্রতিবছর আমরা প্রতিমা বায়না দিতে এসে বিপদের সম্মুখীন হই, কারণ প্রতি বছরই এতটাই প্রতিমার দাম বাড়ে, যে আমাদের পছন্দ সই প্রতিমা বায়না দিতে গিয়ে অনেক বেশি বাজেট বেড়ে যায়। শুধু প্রতিমা নয় প্রতিবছর ফল মূল থেকে শুরু করে সমস্ত জিনিসের দাম আগুন হয়ে যায়। তবুও আমাদের পুজো করতে হয় কোনভাবে। সরস্বতী মাকে বাড়িতে আনতে হয়, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার মঙ্গল কামনায়। তবে কুমারটুলি পাড়ায় আসলে বিভিন্ন আর্টের প্রতিমা পছন্দ করে নেওয়া যায়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn