মঙ্গলবার - ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রামে এক কিশোরীকে ১৮ দিন বাড়িতে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

কুড়িগ্রামে এক কিশোরীকে ১৮ দিন বাড়িতে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

 

কুড়িগ্রামের ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ১৮ দিন বাড়িতে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের এক ড্রাইভার ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগী কিশোরী কৌশলে পালিয়ে এসে পার্শ্ববর্তী গ্রামে আশ্রয় নিলে তাকে উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী। এঘটনায় দ্রুত আইনী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, ধর্ষণের শিকার হয়ে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া কিশোরীকে দেখতে ভীড় করছেন স্থানীয়রা। সেখানে উপস্থিত যৌথ বাহিনীও। আত্মীয়তার সুবাদে গত ২ মার্চ রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের সুলতান মাহমুদ গ্রামের ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়িতে যায় গাড়ি চালক ফজলুল হক ও তার স্ত্রী। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট সদরের চরগুকুন্ডা গ্রামে নিয়ে আসা হয় কিশোরীকে। পরে স্ত্রীর সহযোগীতায় কিশোরীকে তাদের বাড়িতে আটকীয়ে রেখে ১৮ দিন যাবত ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও ধারন করে ফজলুল ও তার সহযোগী সেলিম। এরপর বুধবার রাতে কৌশলে পালিয়ে নিজ বাড়িতে আসার সময় ফজলুলের লোকজন ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী রাজারহাটের গতিয়াসাম গ্রামে আব্দুল বাছেদ মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয় কিশোরী। সেখানে বর্ণণা দেন তার সাথে ঘটে যাওয়া লোমহর্ষক ঘটনার।

ভুক্তভোগী কিশোরী রাজারহাট উপজেলার মধ্য সুলতান বাহাদুর গ্রামের দুলু মিয়ার মেয়ে।

রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসাম এলাকার আরিফ হাসান জানান, ভুক্তভোগী মেয়েটির আশ্রয় নেয়ার খবর পেয়ে সেখানে যাই এবং ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাই। পরে আমরা এলাকাবাসী সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেই। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে অভিযুক্ত ড্রাইভারের বাড়িতে গেলে ড্রাইভার ফজলুল পালিয়ে যায়। পরে তার বাড়ি থেকে ছুরি, কাচিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত আনুমানিক আটটার দিকে হেলেনা পারভীন ফজলুর বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে সরিষা বাড়ি বাজারের নিকট বাছেদ উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নিলে বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। পরে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তসলিম উদ্দিন জানান, ঘটনা জানার পর মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্তদের বাড়ি লালমনিরহাট সদরে।

এ ঘটনায় আইনী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn