বুধবার - ২৫শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১১ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৯শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

কিশোর গ্যাংগের আতঙ্ক : ছাত্রলীগ – পরে যুবলীগ থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এখন টোকাই রাজন

কিশোর গ্যাংগের আতঙ্ক : ছাত্রলীগ – পরে যুবলীগ থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এখন টোকাই রাজন

 

তারিখ ও সময় পাল্টায় রাত ১২ টা পর কিন্তু টোকাই রাজন পাল্টায় সেকেন্ডে সেকেন্ডে। এই সে রাজন কিছু দিন আগে ছাত্রলীগ, এরপর করে যুবলীগ।
তারপর শুরু হয় তার কিছু মাদক সেবনকারীদেরকে দিয়ে ও মোবাইলচোরাই এবং ছিনতাইকারীদেরকে নিয়ে খাইয়া ফালামু নামের একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপ তৈরি করে। সেই কিশোর গ্যাং গ্রুপের লিডার টোকাই রাজন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফ্যাক্টরি এবং ২/৩ বছর আগে লালমাটিয়া ব্লক-ই ৬ নাম্বার লেইনের মুসলিম বেকারি নামক বেকারিতে দিন দুপুরে রাজন ও তার কিশোর গ্যাং ২০/২৫ জন নিয়ে বেকারিতে গিয়ে চাঁদাবাজি করে। সে সময়ে তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। এই বেকারির মালিকের কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করে তারা। এই সময় মুসলিম বেকারির মালিক এলাকার স্থানীয় কিছু মানুষদের কাছে বিষয়টা জানালে আরও ক্ষেপে যায় রাজন টোকাই। তাই রাজন মুসলিম বেকারির মালিককে ফোন দিয়ে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে বেকারি মালিক পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলা ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে ও আওয়ামী লীগের কিছু নেতাদেরকে দিয়ে পল্লবী থানায় মীমাংসা করে তারপরে ফুটপাত থেকে চাঁদা তুলে নিতো যুবলীগের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে চোরাই জিনিস কিনে ভাঙ্গারি ব্যবসা করে রাজনের সবুজ বাংলার বিপরীত পাশে খিচুরিপট্টি বস্তিতে একটি ভাঙ্গারি দোকান আছে। উক্ত দোকানে টোকাই রাজনের বাবা দেখাশোনা করে।
টোকাই রাজনের নামে পল্লবী থানায় চুরি, মাদক হতে শুরু করে কিশোর গ্যাং এর একাধিক মামলা রয়েছে কিন্তু সে ৫ই আগস্ট থেকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার সাথে সাথে তার রূপ পাল্টে যায়। নতুন রূপে টোকাই রাজন সে এখন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দাবি করে এবং বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা দিয়ে টোকাই রাজন আবারো কিশোর গ্যাং গ্রুপ তৈরি করছে। এই রাজন আতঙ্ক ও ভয়ানক যেন স্হানীয় জনসাধারণের কাছে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্হানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আমরা ৫ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসী এই টোকাই রাজনের জন্য খুব আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি এটাই শেষ না। কিন্তু টোকাই রাজনের অপকর্ম আরো আছে তার গ্রুপের পোলাপান দিয়ে এলাকার স্কুলের মেয়েদেরকে দেখলে ইভটিজিং করে তারপর কোন সুন্দরী মেয়ে দেখলে তার পোলাপান দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব পাঠায়। তারপর সে মেয়ে যদি রাজি না হয় তাহলে মুখে এসিড মেরে দিবে বলে আবার কিছু সময় ধর্ষণ করবে বলেও হুমকি দেন।

এটার জন্য মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না এবং এলাকার মেয়েগুলো বাসা থেকে বের হয় না। তারপর টোকাই রাজনের মূল ব্যবসা সবুজ বাংলার এলাকার ভিতরে বরিশাইল্লা মোচরে ওই জায়গায় টোকাই রাজনের কিশোর গ্যাং গ্রুপের ছেলেদের দিয়ে মাদক বিক্রি করে । আর সেই মাদক বিক্রি টাকা দিয়ে কিশোর গ্যাংগের গ্রুপের পোলাপান চালায়।

আমরা এলাকাবাসী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করছি এই টোকাই রাজনকে আইনের আহতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। আমরা এলাকাবাসী রাজনের এবং খাইয়া ফালামু গ্রুপের সকল সদস্যের গ্রেফতার দাবি জানাই।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn