
কাউখালীতে বিএনপির দুই নেতার পদস্থগিত
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কাউখালী উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসমাইল তালুকদার ও বেতবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সসহ-সভাপতি মোঃ মোঃ কোরবান আলী’র পদ স্থগিত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দিপু ও সাধারন সম্পাদক এড্যাঃ মামুনুর রশীদ মামুনের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের দলীয় সব পদ স্থগিত করা হয়। বিষয়টি তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হই।
মোঃ ইসমাইল তালুকদার উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন ছিলেন অন্যদিকে মোঃ কোরবান আলী বেতবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্বিতে ছিলেন
অভিযুক্ত দুজনি কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়ের মোঃ আবুল খায়ের তালুকদারের ছেলে।
জেলা বিএনপি ও উপজেলা বিএনপির তথ্যমতে
গত ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ইং চট্টগ্রাম হতে প্রকাশিত “একটি পত্রিকায় “কাউখালী বি.এন.পি নেতাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ মানুষ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদের ভিত্তিতে রাঙামাটি জেলা বি.এন.পি গত ১৮/১০/২৪ইং তারিখে প্রকাশিত সংবাদের সভ্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে । গঠিত তদন্ত কমিটি সরজমিনে ঘটনার সত্যতা যাচাই বাচাই করে গত ২৪/১১/২০২৪ইং তারিখে তদন্ত লিখিত রিপোট দাখিল করলে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়াতে তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে।তদন্ত রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে আপনরা দলের সকল নির্দেশনা অমান্য করে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃংখলা বিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে দলীয় সুনাম ও দলীয় শৃংখলা নষ্ট করায় আপনার দলীয় সকল পদ পদবী আগামী ১৩/০১/২০২৫ইং পর্যন্ত ১(এক) মাসের জন্য স্থগিত করা হইল। পরবর্তিতে স্থানীয় উপজেলা বি.এন.পি নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে আপনাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
পদ স্থগিতাদেশ বিষয়ে জানতে মোঃ ইসমাইল তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি মিঠিং এ আছেন বলে জানান এবং তিনি পদ স্থগিতাদেশ বিষয়ে অবগত নাই বলে জানান। অন্যদিকে বেতবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সসহ-সভাপতি মোঃ মোঃ কোরবান আলী’র মুঠোফোনে সংযোজক পাওয়া যায়নি।
কাউখালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ তারামিয়া বিষয়টি এখনো শুনেন নি বলে জানান এবং জেলা বিএনপির সাথে কথা বলে জানাবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।