শনিবার - ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২২শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

কসবায় যে কারণে খুন করল স্ত্রী ও শ্যালিকাকে

কসবায় যে কারণে খুন করল স্ত্রী ও শ্যালিকাকে

 

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া ঘাতক মোঃ আমির হোসেনকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রামের বাকুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আমির হোসেন কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতদের ভাই মোবারক হোসেন বাদী হয়ে সোমবার রাতে কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে বুধবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আমির হোসেনকে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (চতুর্থ আদালত) আছমা জাহান নিপার আদালতে সোপর্দ করলে আমির হোসেন হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। এর আগে আমির হোসেন পুলিশের কাছেও ১৬১ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আমির হোসেন জানান, সে তার স্ত্রী জ্যোতি আক্তারকে পরকীয়া করে বলে সন্দেহ করতো। গত এক সপ্তাহ আগে সে শ্বশুর বাড়িতে এসে দেখতে পায় তার স্ত্রী অন্য একটি ছেলের সাথে বেডরুমে বসে আছে। এ ঘটনায় পরে স্ত্রী জ্যোতি তার কাছে ক্ষমা চায়। আমির হোসেন স্ত্রীকে তার সাথে স্বামীর বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা বললে জ্যোতি এতে আপত্তি করে।
রোববার গভীর রাতে স্ত্রী জ্যোতির সাথে আমির হোসেনের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমির হোসেন স্ত্রী জ্যোতিতে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে শ্যালিকা স্মৃতি আক্তার ঘুম থেকে উঠে তা দেখে ফেলে।
আমির হোসেন শ্যালিকা স্মৃতিকে তার রুম থেকে চলে যাওয়ার কথা বললে স্মৃতি সেখান থেকে চলে যায়। স্মৃতি চলে যাওয়ার পর আমির হোসেন স্ত্রী জ্যোতিকে পুনরায় গলায় বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরে আমির হোসেন শ্যালিকার রুমে গিয়ে তাকে রুম থেকে ডেকে রান্না ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে তার লাশ এনে বিছানায় শুইয়ে রেখে ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালকার নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস বলেন, আদালতে ঘাতক আমির হোসেন স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যা কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে। এর আগে সে পুলিশের কাছেও ১৬১ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। রিপন দাস আরো জানান, গ্রেফতারের সময় আমির হোসেনের কাছ থেকে এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, প্লেইটবারের চেইন, একজোড়া নূপুর ও নগদ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য তাকে যে, গত সোমবার কসবা উপজেলার ধজনগর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে, স্ত্রী জ্যোতি আক্তার-(২০) ও শ্যালিকা স্মৃতি আক্তার-(১৩) কে খুন করে পালিয়ে যায় আমির হোসেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn