
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ছিলেন চিত্তের পূজারী। অতিসাধারণ জীবনযাপনের মাধ্যমে দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে ছিলেন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব এবং অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। কর্মের মাধ্যমে তিনি আজীবন সবার হৃদয়ে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন।
আজ ৬ মে শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‘চেতনার বাতিঘর অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ স্মারকগ্রন্থ’ প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রেসক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি আরো বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ছিলেন আমার রাজনৈতিক পথপ্রদর্শক। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বরণের পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগকে সংঘটিতর করার ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল উল্লেখ করার মতো। আমি যাতে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারি, সে বিষয়ে তিনি সহযোগিতা করেছেন। আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর স্মৃতি ধরে রাখব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ যখন ৭০ এর নির্বাচনে যখন প্রতাপশালী ফজলুল কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করেছেন, তখন সারা পাকিস্তানের মানুষ অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকে চিনেছেন। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক সর্বোপরি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম। সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকে চট্টগ্রামের মানুষ চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি কবি-সাংবাদিক রাশেদ রউফ, মীরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের ছেলে মোহাম্মদ জহির।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, ক্রীড়া সম্পাদক এম সরোয়ারুল আলম সোহেল, গ্রন্থাগার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, কার্যকরী সদস্য মো. আইয়ুব আলী’সহ রাজনীতিবিদ, কবি-সাহিত্যিক, সংগঠকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার বিপুল পরিমাণ সাংবাদিক ।