
গালিব চৌধুরী :
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির রোসাংগিরী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মঙ্গল চাঁন বাড়ীর সামাজিক কবরস্থানের মাটি ভরাট ও দেওয়াল সংরক্ষণ নিয়ে সামাজিক বিরোধ চরমে পর্যায়ে পৌছেছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখত অভিযোগ করেছে ওই এলাকার প্রবাসী আব্দুল কাদের।
লিখত অভিযোগে আব্দুল কাদের বলেন, “আমি আবেদনকারী রোসাংগিরী গ্রামের মঙ্গল চাঁদ তালুকদার বাড়ীর সমাজের একজন বসবাসরত বাসিন্দা। অত্র পাড়ার মধ্যে যে কবরস্থান রয়েছে তাহা বিগত ৫/৬ বছর পূর্বে আমার সার্বিক সহযোগিতায় ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতায় একটি দেওয়াল নির্মান করা হয়েছে, যা কবরস্থান সংরক্ষণের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেছে। আমি বিশ্বস্থসূত্রে জানতে পারলাম যে, অত্র কবরস্থানের নির্মিত দেওয়ালের পাশ দিয়ে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি ভরাট করছে একটি পক্ষ । কিন্তু মহোদয় অত্র করবস্থানটি সংরক্ষণ করা সমাজের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। মাটি কেটে কবরস্থান ভরাট ও সংস্কার করা হবে তাতে আমি উদ্যোগ গ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সুবাদে আমি আবেদনকারী জানাচ্ছি যে, মাটি কাটার সময় যাতে ঐ দেওয়ালের কোন প্রকার ক্ষতি না হয় এবং ভবিষ্যতে দেওয়াল ভেঙ্গে যাওয়া বা হেলে যাওয়ার আশংকা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে মাটি কাটার জন্য বিনীতভাবে আবেদন জানাচ্ছি। উল্লেখ্য যে, কোন অসাবধানতার কারণে যদি দেওয়ালের কোন রকম ক্ষতি হয় বা হয়ে তাকে তাহলে তাহা নিন্মে উল্লেখিত ব্যক্তিরা দায়ভার গ্রহণ করতে হবে এবং সকল প্রকার খরচ বহন করতে হবে। আর সেই তিন ব্যক্তি হলেন মোহাম্মদ সুমন,মাহাবুল আলম,পারভেজ তালুকদার।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ কবরস্থানের দেওয়ালটি সংরক্ষণ করে আসছে ওই এলাকার প্রবাসী আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে।
প্রবাসী আব্দুল কাদের বলেন, আমিসহ প্রবাসী ভাইদের থেকে টাকা তুলে ওই দেওয়ালটা দিয়েছি। কিন্তু সমাজের কিছু দুষ্কৃতকারী লোক কবরস্থানের মাটি ভরাট করার কথা বলে নিয়ম বহির্ভূত কাজ করে দেওয়ালটি নষ্ট করে দিয়েছে। এটির দায়ভার তাদের নিতে হবে।
এ বিষয়ে ওই সমাজের লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেওয়ালটি সংরক্ষণের করেছিলেন প্রবাসী আব্দুল কাদের। তিনি বিদেশ যাওয়ার সমাজের কিছু লোক কবরস্থানের মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে। তবে, মাটি ভরাটের অসাবধানতার কারণে দেওয়ালটি আজ ফাটল দিয়েছে। বারবার টাকা খরচ করে দেওয়াল তো দেওয়া যায় না। আমরা চাই এটির সুষ্ঠু সমাধান হোক।
এ বিষয় জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সোয়েব আল সালেহীন বলেন, আমার কাছে একটি অভিযোগ করেছে ওই এলাকার প্রবাসী আব্দুল কাদের পক্ষে। আমি অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এলাকার সামাজিক মানুষ এবং যারা কবরস্থানের মাটি ভরাট করছে তাদের ডেকে যাতে এস্কেভটর দিয়ে যাতে মাটি না কাটে এবং মাটি ভরাট করার সময় দেওয়ালের যাতে কোনো ক্ষতি না হওয়ার মতো কাজ করতে বলেছি।কিন্তু যারা কাজ করছে তাদেরও কিছু দোষ আছে।দেওয়ালের উপর মাটি ভরাট করাতে দেওয়ালটি এক পাশে ফাটল দিয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা বলেন,এটি সামাজিক কাজ। সমাজের সিদ্ধান্তে আমরা এ কাজ করছি। যিনি অভিযোগ দিয়েছে তাকে আমাদের সাথে বসতে বলেন। যদি দেওয়ালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় তাহলে সামাজিক সিদ্ধান্তে এটি ঠিক করা হযে।