শুক্রবার - ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১লা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

এনআইডি জালিয়াতি: সাবরিনা অসুস্থ থাকায় পেছালো চার্জ শুনানি

 এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের বরখাস্ত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার চার্জ শুনানির জন্য ২৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ছিল।

কিন্তু সাবরিনা অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।

তার পক্ষে আইনজীবী প্রণব কান্তি ভৌমিক সময় আবেদন করেন।

আদালত আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির এ দিন ঠিক করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাসেল সরদার এ তথ্য জানান।

মামলা বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন। এরপর একই বছর ২২ ডিসেম্বর চার্জশিট গৃহীত হয়।

চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন। তিনি ১৯৯১ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বয়স কমিয়ে জালিয়াতির উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় টিআইএন নম্বর প্রাপ্ত হয়েছেন এবং প্রতারণামূলকভাবে দ্বিতীয় এনআইডি খাঁটি দলিল হিসেবে তার অফিসে এইচআরআইএস এ ব্যবহার করে পিআরএলের সময় বৃদ্ধি করায় পেনাল কোডের ৪৬৫/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অপরাধ করেছেন।

এর আগে ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। ওই বছর ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা।

২০২২ সালের ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। চলতি বছর ৫ জুন এ মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ডা. সাবরিনা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn