দাবি আদায়ে চলমান জনসম্পৃক্ত কর্মসূচিকে ধাপে ধাপে চূড়ান্ত আন্দোলনে রূপ দিতে চায় বিএনপি। একই সঙ্গে ১৯৯১ সালের আদলে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখার খসড়া প্রণয়নে কাজ শুরু করেছে বিরোধী দলটি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা জোরদার করবে তারা।পাশাপাশি সরকারের অবস্থানও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে পাল্টা কৌশল গ্রহণ করবে দলটি।সেপ্টেম্বরেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলন গড়তে চায় বিএনপি।
এবারের চূড়ান্ত আন্দোলনে আর পিছু হটবে না বলে জানিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। মুখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বললেও সভা-সমাবেশে হামলা হলে পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। কৌশল হিসেবে লাঠির মাথায় দলীয় ও জাতীয় পতাকা এবং ফেস্টুন বহন করতে নির্দেশনা দিয়েছে হাইকমান্ড।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ছয় মাস বাকি। এ সময়সীমা মাথায় রেখে আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে চূড়ান্ত আন্দোলন গড়তে হবে বিএনপিকে। সে লক্ষ্যে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। এবারের ঈদেও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ নিজ এলাকায় দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে আন্দোলনের পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন।