শনিবার - ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

ঈদকে সামনে রেখে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত জেলার খামারীরা, দাম নিয়ে শঙ্কা

ঈদকে সামনে রেখে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত জেলার খামারীরা, দাম নিয়ে শঙ্কা

ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার খামারীরা। গমের ভূষি, ভুট্টা, পালিশ, সয়াবিন খৈল এবং নিজেদের চাষ করা ঘাসসহ অর্গানিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন তারা। তবে, চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি থাকায় কাক্সিক্ষত আয় নিয়ে রয়েছে অনেকের মনে শঙ্কা।
২৭২ কি. মি. দীর্ঘ নৌ ও স্থল সীমান্ত বেষ্টিত সাতক্ষীরা জেলায় এবারে কোরবানীর জন্য গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫হাজার ৩১৮টি। চাহিদার বিপরীতে পশু প্রস্তুত রয়েছে ১লাখ ৬০৬টি। বাজারে পশুখাদ্য এবং পশু পরিচর্যা ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও আশানুরূপ দাম পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী খামারীরা। তবে, শঙ্কা ভারতীয় গরুর পাচার নিয়ে।
খামারীরা জানান, গত বছর খাবারের মূল্য কম থাকায় আমরা লাভবান হয়েছিলাম। এবার খাবারের দাম বেশি। তবে, ভারত থেকে গরু না এলে এবারও লাভবান হতে পারবেন বলে আশাবাদী এই খামারীরা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কম হবে প্রত্যাশা ছিল। তবে ক্রেতাদের কেউ বলছেন গত বছরের চেয়ে এবার দাম বেশি, আবার কেউ বলছেন তুলনামূলকভাবে কম।
ভোর থেকে খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা থেকে শুরু করে গরুর খাবার প্রস্তুত ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারের কর্মচারীরা।
খামারী হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, খাবারের দাম বেশি, গরুর দাম কম। লাখের উপরে গরু বিক্রি নেই। খামার চালানো কঠিন। গত বছর লাভ হয়েছিল, তাই এবছর গরু প্রস্তুত করা। তবে, এ বছর লোকশানের শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ডা. বিষ্ণুপদ বিশ্বাস বলেন, এবছর জেলায় খামারীর সংখ্যা ১২হাজার ৮৯৪। এসব খামারে ৪৯ হাজার ১৯৯টি, ১হাজার ১৮২টি মহিষ, ৪৪হাজার ৫৪টি ছাগল, ৬হাজার ১৫৬টি ভেড়া এবং অন্যান্য ১০টিসহ ১লাখ ৬০৬টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এবছর জেলায় কোরবানী হতে পারে ৪২হাজার ৩৫২টি গরু, ৬১৬টি মহিষ, ৩৮হাজার ৮৫০টি ছাগল এবং ৩হাজার ৫০০টি ভেড়াসহ মোট ৮৫হাজার ৩১৮টি। সেই হিসাবে ১৫হাজার ২৮৮টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। তিনি আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর ২ থেকে ৩% কোরবানীর পশু বেড়েছে। কোন সংকটের আশঙ্কা নেই। তিনি আরও বলেন, বর্ডার দিয়ে কোন গরু আসবে না। এক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারপরও চোরাই পথে কিছু ঢুকলেও প্রান্তিক চাষিদের তেমন কোন সমস্যা হবে না বলে মনে করেন তিনি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn