রবিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ করায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো

ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ করায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো

 

ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ করায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র ।গাজায় ইসরায়েলি বর্বতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়ায় এক বাংলাদেশি নারী শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করে তাকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউইয়র্ক-ভিত্তিক অভিবাসন আইনজীবী মঈন চৌধুরী বাপসনিঊজকে বলেছেন, বিক্ষোভের কারণে আটক শিক্ষার্থীর মুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।

এছাড়া চুরির মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরও আরেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঈন চৌধুরী বলেন, এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মাস কয়েক আগে দোকান থেকে ৭০ ডলারের পণ্য চুরির সময় ধরা পড়েছিলেন।

তিনি বলেন, ছোটখাটো চুরির সেই মামলায় দোষ স্বীকার করার পর আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি করেছেন। তাকেও গত সপ্তাহে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এজেন্টরা গ্রেপ্তার করেছে এবং তার ভিসা বাতিল করে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়েছে বাংলাদশে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য।

এদিকে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় সম্প্রতি জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে ডজন খানেক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রিন কার্ডধারী যেমন রয়েছেন, তেমনই পারিবারিক কোটায় ইমিগ্র্যান্ট ভিসাধারীও আছেন।

এ পরিস্থিতিতে যারা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছেন কিংবা ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় আসছেন, তাদেরকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মঈন চৌধুরী। তিনি বলেন, “গ্রিন কার্ডধারীরা বছরের বেশির ভাগ সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস না করলে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন এয়ারপোর্টে। সম্প্রতি বেশ ক’জনকে থামানোর পর মুচলেকা নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ তারা বছরের ১০ মাস যুক্তরাষ্ট্রে না থাকলে গ্রিন কার্ড কেড়ে নেওয়া হবে।”

প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে থাকার আশ্বাস করটেজের

বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-১৪ এর প্রতিনিধি আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-করটেজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী অভিযানের মধ্যে বাংলাদেশিদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।

ডিস্ট্রিক্ট অফিসে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে করটেজ প্রবাসীদের সবশেষ অবস্থা জানতে চান ব্রঙ্কস কম্যুনিটি নেতৃবৃন্দ ।

কংগ্রেসওম্যান করটেজ বলেন, তাৎক্ষণিক সহযোগিতার জন্য তার অফিসের দুয়ার সবসময় খোলা রয়েছে। অভিবাসন বিষয়ক যেকোনো সমস্যা দেখভালে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তার ডিস্ট্রিক্ট অফিসের পরিচালক বাংলাদেশি আমেরিকান নওরীন আকতার।

শাহজাহান শেখ জানান, শুধু কাগজপত্রহীনরাই নন, ট্রাম্পের অভিযানে অনেক গ্রিন কার্ডধারীও ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। কারণ, অবৈধ অভিবাসী ধরতে যখন অভিযান চলছে, তখন সামনে যাকে পাওয়া যাচ্ছে- তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn