প্রোডাকশন বোনাসের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকেরা দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব একমাত্র জ্বালানি তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) সহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। একই সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তারা ইস্টার্ণ রিফাইনারিতে জ্বালানি তেল পরিশোধনসহ সব ধরনের কাজও বন্ধ করে দেন। রাতে কর্মকর্তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন। সূত্র জানিয়েছে, ইস্টার্ণ রিফাইনারিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রোডাকশন বোনাস প্রদান করা হয়। বেসিকের ৭৪ দিনের সমপরিমাণ অর্থ বোনাস হিসেবে প্রদান করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই নিয়মে এবার কিছুটা শর্ত আরোপ করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এখন থেকে প্রোডাকশন বোনাস দেয়ার আগে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে বলা হয়। আর এতে করে প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে বোনাস পেয়ে গেলেও এবার আর তা পাননি ইস্টার্ণ রিফাইনারিতে বর্তমানে কর্মরত ১৫০ জনের বেশি কর্মকর্তা ও ৪৯০ জন শ্রমিক। প্রোডাকশন বোনাস না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বেশ উত্তেজনা চলে আসছে।
গতকাল ৩১ আগস্ট সিবিএর নেতৃত্বে শ্রমিক কর্মচারীরা প্রথমে ইস্টার্ণ রিফাইনারির কাজ বন্ধ করে দেন। তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অবিলম্বে বোনাস প্রদানের দাবি জানান। পরে তারা কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। বোনাস না পাওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তাদের অফিসের বাইরে যেতে না দেয়ারও হুমকি দেন তারা। এক পর্যায়ে আলাপ আলোচনার পর শ্রমিক কর্মচারীরা অবরোধ তুলে নেন।
ইস্টার্ণ রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রোডাকশন বোনাসের অর্থ বরাদ্দ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে আমাদের একটা চিঠি পেট্রোলিয়াম করপোরেশন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় হয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে গেছে। গত ১৪ জুন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বোনাসের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায়। এখন পুরো বিষয়টি অনুমোদন প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করছে। অনুমোদন পেলে আমরা সহসা বোনাসটা দিতে পারবো। কিন্তু শ্রমিক কর্মচারীরা অধৈর্য্য হয়ে আজ (গতকাল) বিক্ষোভ করেন এবং আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।