রবিবার - ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

আসামের উধারবন্দে ছেলের প্রহারে প্রাণ হারালেন সৎমা,  গ্রেফতার যুবক 

আসামের উধারবন্দে ছেলের প্রহারে প্রাণ হারালেন সৎমা,  গ্রেফতার যুবক

 

ছেলের প্রহারে সৎমায়ের প্রাণ গেল। বেধড়ক মারধর করলে মাথায় গুরুতর আঘাত পান ওই মহিলা। আঘাতে মৃত্যু ঘটল মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আসামরাজ‍্যের কাছাড় জেলার উধারবন্দের লাঠিগ্রাম ৪র্থ খন্ডে। তবে মহিলার আত্মীয় স্বজনরা, শুধু এক ছেলের প্রহারে মৃত্যু ঘটেছে মানতে নারাজ। তারা অভিযোগ করে বলেন, মহিলার স্বামী সহ ৩ ছেলে পরিকল্পিতভাবে হত‍্যা করেছে। রবিবার ( ২৪ নভেম্বর ) শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে মহিলার মৃতদেহ নিয়ে আত্মীয়রা সুবিচারের দাবি জানান। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর ) দুপুর ১২টায় গৃহবধূ হামিদা বেগম বড়ভূইয়াকে সৎছেলে নজমুল হুসেন গাজী লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনার পর স্বামী টুনু মিয়া গাজী সঙ্গে সঙ্গে হামিদা বেগমকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা হামিদাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এরপর ২দিন মৃতদেহ মেডিক্যালের মর্গে রাখা ছিল। অপরদিকে, নৃশংস ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা উধারবন্দ পুলিশে নজমুলকে সমঝে দেন। বর্তমানে উধারবন্দ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে নজমুল। হামিদা বেগমের আত্মীয়রা জানান, টুনু মিয়া গাজী আগে আরও ৩টি বিয়ে করেছেন। এভাবেই অত‍্যাচার চালানোর ফলে প্রত‍্যেকেই ঘর ছাড়তে বাধ‍্য হয়। কিন্তু হামিদা বেগমের বাবার বাড়িতে কেউ না থাকায় মুখ বন্ধ করে অত‍্যাচার সহ‍্য করেছেন। অবশেষে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে হামিদাকে। পুরো ঘটনার তদন্ত করে হত‍্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn