রবিবার - ১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২০শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

আশাশুনি বড়দলে ঘেরের মরা মাছ নেওয়ায় প্রতিপক্ষের মারপিটে দুই গৃহবধূ সহ আহত ৫

আশাশুনি বড়দলে ঘেরের মরা মাছ নেওয়ায় প্রতিপক্ষের মারপিটে দুই গৃহবধূ সহ আহত ৫

আশাশুনি বড়দলে মৎস্য ঘেরের ভাইরাজের মরা চিংড়ি মাছ নেওয়া কে কেন্দ্র করে মারপিটে এক গৃহবধূ সহ পরিবারের ৫ জন আহত হয়েছে । গতকাল বিকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বাইনতলা গ্রামে আহতদের বসত বাড়িতে । এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগে জানাগেছে বাইনতলা গ্রামের মৃত আলী গাজী পুত্র জিন্নাত গাজীর বসতবাড়ি সংলগ্ন একই গ্রামের খালেক মোল্লার পুত্র কামরুল ইসলাম গংদের মৎস্য ঘের রয়েছে । উক্ত মৎস্য ঘেরে ভাইরাস লেগে বাগদা চিংড়ি বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ মরে ভাসতে থাকে l ভাসমান মাছ স্কুলের বিভিন্ন ছেলেমেয়েরা ধরতে থাকে তাদের সাথে জিন্নাত গাজীর এ সময় তার শিশু পৌত্র আসিফ গাজী ( ১১) ছেলে মেয়েদের সহিত দুই একটি মাছ ধরিতে থাকে । এ সময় মৎস্য ঘের মালিক খবর পেয়ে ছেলে মেয়েদের ধরতে ধাওয়া করলে অন্যান্য ছেলেমেয়েরা পালিয়ে যায় । জিন্নাত গাজীর শিশু পৌত্র আসিফ গাজী দৌড়িয়ে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করলে কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে তার পুত্র ময়না মোল্লা, মোস্তাকিম মোল্লা, শান্ত মোল্লা সহ তার পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সুসংগঠিত হয়ে বসত বাড়ির ভিতরে ঢুকে অকৃত ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় তার পুত্র মফিজুল ইসলাম গাজী স্ত্রী মোছা; মেঘনা খাতুন. আজিজুল ইসলাম গাজীর স্ত্রী মোছা; আনোয়ারা খাতুন ও পুতনি এসএসসি পরীক্ষার্থী মোছা; আছিয়া খাতুন, মোছা; সাদিয়া খাতুন মৌকিখ ভাবে প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বেপরোয়া ভাবে পিটিয়ে আহত করে । ওই সময় তারা তার পুত্রবধূ মেঘনা খাতুনের পরনের কাপড় চোপড় টানাটানি করে ছিড়ে ছুটে শীলতা হানি করে । তাছাড়া পত্নী এসএস সি পরীক্ষার্থী আছিয়া খাতুনের গলায় থাকা আট আনা ওজনের ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেন ও এসএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া খাতুনের কানে থাকা ৩৭ হাজার টাকা মূল্যের চার আনা ওজনের একজোড়া স্বর্ণের দুল জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় । আহতদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে । এ ব্যাপারে জিন্নাত গাজী বাদী হয়ে থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে । তবে অভিযোগ রয়েছে থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিতে মারপিট কারি কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে তার লোকজন হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে । ফলে বাদিসহ তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । তাই বিষয়টি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে থানা পুলিশের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn