
আশাশুনির খাজরা বাজারের সাব ইজারা হস্তান্তর
আশাশুনি উপজেলার খাজরা হাট-বাজারের ইজারা গ্রহিতা নিয়ম ভঙ্গ করে অন্যের কাছে বাজারের ইজারা ডিড করে হস্তান্তর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ থেকে চলতি বাংলা ১৪৩২সনের জন্য খাজরা হাট বাজারের ইজারা প্রদানের জন্য টোন্ডার আহবান করা হয়। খাজরা ইউনিয়নের মৌজা গদাইপুর গ্রামের মৃত খোদা বখস মোল্যার ছেলে শাহিনুর ইসলাম সর্বোচ্চ ইজারা মূল্য প্রদানের মাধ্যমে ইজারাপ্রাপ্ত হন।
ইজারা শর্ত ভঙ্গ করে ইজারা গ্রহিতা গত ১৪-৩-২৫ তারিখে হাটটি পিরোজপুর গ্রামের মৃত কেরামত গাজীর ছেলে নূর ইসলাম গাজী এর নিকট ১লক্ষ ২২হাজার টাকা মূল্যে ইজারা হস্তান্তর করেন। ১০০টাকার দুটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষীদের ও দাতা গ্রহিতার স্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত ইজারা হস্তান্তর নামা সম্পাদন করা হয়।
স্বাক্ষীদের স্বাক্ষরসহ ডিড সম্পাদনের পর নূর ইসলাম গাজী বাজারে খাজনা আদায় শুরু করেন। বৃহস্পতিবার বিকালে বাজারে গিয়ে দেখা যায় নূর ইসলাম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করছেন।
এব্যাপারে ইজারা গ্রহিতা নূর ইসলাম গাজী জানান, আমি শাহিনুরের কাছ থেকে হাটের ইজারা নিয়েছি। আমি গরীব মানুষ, খুব কষ্টে আছি। খাজনা আদায় করে ডাকের টাকা তুলে লাভ পাওয়া কষ্টসাধ্য হলেও, নিয়মিত খাজনা আদায়ের মাধ্যমে সংসার চালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।
মূল ইজারা গ্রহিতা শাহিনুর ইসলাম জানান, উপজেলা থেকে সর্বোচ্চ ডাকে আমি হাটের ইজারা পাই। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অনুরোধে অসহায় নূর ইসলাম গাজীকে সহযোগি হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছি।