
আমার বন্ধুু সাংবাদিক আজাদ তালুকদার
মো কামাল উদ্দিন
সাংবাদিক আজাদ তালুকদারের সাথে আমার পরিচয় বিগত ১৯৯৫ সালে তিনি তখন সাপ্তাহিক সুগন্দ্ধা ম্যাগাজিনে কাজ করতেন,তার বাড়ি রাঙুনিয়া আমার বাড়ি বোয়ালখালী হলেও শহরে তার সাথে আমার পরিচয়, সাংবাদিক ও লেখক, প্রকাশক, গবেষক জামাল উদ্দিন এর সম্পদনায় আমরা চট্টগ্রামে প্রথম কালার অপরাধ বিযয় ম্যাগাজিন চট্রল চিত্র প্রকাশ করি,ঐ ম্যাগাজিনে আমি ছিলাম নির্বাহী সম্পাদক, সে-ই ম্যাগাজিনে সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক কাজী মহসিন সহ অসংখ্য গুনি সাংবাদিক ও লেখকরা লিখেছিলেন,আমার ও একটা লেখা ছিল, ম্যাগাজিন যেদিন বাজারে আসে তখন সবাই আমার কাছে আবদার করেছেন মোমিন রোডস্থ মোগল বিরিয়ানি খাওয়ানোর জন্য, আমি সবাইকে নিয়ে বিরিয়ানি খায়লাম।মোগল বিরিয়ানিটা ছিল আমার নেতা ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এর।যা হউক অনেক অনেক স্মৃতি।
কিন্তু আজাদ তালুকদার পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমার সাথে আলাপ করতেন, তখন তার বাসা ছিলো বাকলিয়া ডিসি রোড খাল পাড়ে, আমি ঐবাসায় বহুবার গেয়েছি। বিগত ১৯৯৭ সালের ১১ই আগস্ট আমার ছোট আকতার নিখোঁজ হওয়ার পর আমি চান্দ গাঁ থানা ও বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।
ডায়েরিটি লেখেছিলেন আজাদ তালুকদার, তার হাতের লেখা অসাধারণ সুন্দর,চেরাগি পাহাড় বাবুলের চায়ের দোকানে বসে ডায়েটি আমরা লিখলাম।আমি মুখে বলেছি তিনি লিখেছেন।ঐ বছর জানুয়ারির ২০ আমার বড় ছেলে সাকিব জন্ম নেন। আমার নিখোঁজ বিষয় আজাদ তালুকদার আমার সাথে থানায় যাওয়াসহ যথেষ্ঠ সহযোগিতা করেছেন তা চিরদিন মনে থাকবে।বেশ কিছু দিনপর চেরাগি পাহাড় মোড়ে দেখা হয় তার সাথে।তখন বল্লেন ওবায়দ ভাই দৈনিক খবর গ্রুপের বিভাগের দায়িত্ব নিচ্ছেন আমরা একসাথে যেন কাজ করি।তখন আজাদ তালুকদার ওবাইদ ভাইয়ের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এক পর্যায়ে খবরের দায়িত্ব নিলেন ওবাইদ ভাই। তখন ওবাইদ ভাইয়ের সাথে আজাদ তালুকদার, কাজী মহসিন, মাকন লাল সরকার, রনজিদ শীল,মাঝে কিছুদিন শহিদ ভাই ও জামাল ভাই কাজ করেছেন। ওবাইদভাই আজ আমাদের মাঝে নেই,তিনি থাকলে আজাদ তালুকদারের জন্য মায়াকান্না করতেন। এক সাথে আমরা জমজমাট কাজ করেছি। কোন এক সময় শিবিরের ক্যাডাররা ওবাইদ ভাইয়ের অফিসে হামলা করবে, আমাকে কাজী মহসিন ও আজাদ (তালুকদার খবর দিলেন তখন বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময়।) আমি এসে সব সমস্যা সমাধান করলাম।শিবিরের নেতারা তখন আমাকে সম্মান করতো। আমি বেশিরভাগ চিত্র বাংলা ও ছায়া চন্দে অনুসন্ধানি মুলক প্রতিবেধন করতাম, এর আগে আমি অপরাদ বিষয়ক ম্যাগাজিন অপরাধ জগতে সাংবাদিক প্রদীপ শীলসহ দীর্ঘ বছর কাজ করেছি।পরে অপরাধ জগতের মালিক শামীম ভাই রাজনৈতিক বিষয় ম্যাগাজিন সংবাদ চর্চা বাইর করলে আমি রাজনৈতিক বিষয় লেখা লিখতাম।২০০৪ সালে আজাদ তালুকদার খবর হতে চলে এসে নিজে একটা ম্যাগাজিন প্রকাশ করেন যা তার এখন সুপরিচিত একুশে পত্রিকা নামে বাজারে আছে।তখন তিনি চেরাগি পাহাড় একটি ছোট অফিস নিয়ে কাজ করতেন।তখনকার সময়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আব্দুল আল নোমান সাহেবের ডিও লেটার দিয়ে তিনি তাঁর একুশে পত্রিকার রেজিষ্ট্রেশন নেন।তার সাথে চেরাগি পাহাড়ে প্রতিদিন দেখা হতো।তার অফিসে ছোট বড় প্রায় সাংবাদিক বন্ধুদের আড্ডা ছিলো। একবার তার পরিবার নিয়ে ডিসি রোডের বাসায় রাতে যাওয়ার পথে তাঁর উপর হামলা হয় হামলার বিষয়ে আমাকে বলার পর আমি সাথে সাথে ব্যাবস্হা নিলাম তাঁর উপর হামলা কারিদের বিরুদ্ধে। তাঁর অফিস কর্মচারি এবং তাঁর ভাগিনা সম্পর্কের হয়, লুসাই ভবনের ছাদ হতে পরে গেয়ে মৃত্যু হয়, সেই সময় তসকে হত্যার মামলায় জড়িয়ে দেওয়া চেষ্টা করপছিল অনেকেই তখনও কিন্ত আমি তার পাশে ছিলাম।তাঁর সাংবাদিকতা যখন জনপ্রিয়তার আকাশ ছোঁয়া তখন তিনি কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে আজ জীবন বাঁচার যুদ্ধ করেছেন। তার মন মানসিকতা অনেক ভালো, আমি তার অসুখের কথা শুনে দুঃখ পেয়েছি। এখন তাঁর জন্য মহান আল্লাহ পাক এর কাছে দোয়া ছাওয়া ব্যতিত আর কিছু করার নেই।তাঁর সাথে হাজার ও স্মৃতি রয়েছে আজ সামান্য কথা তুলে ধরলাম।
আমি আল্লাহ কাছে দেয়া প্রার্থনা করছি তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের কাছে ফিরে আসেন আমিন।