রবিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আবদুল্লাহ আল নোমানের উপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের প্রতিবাদ সভা

আবদুল্লাহ আল নোমানের উপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের প্রতিবাদ সভা

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়িবহরে হামলা প্রতিবাদে  ২৭ মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা নাসিম ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বিকাল ৪টার সময় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এএম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী শেখ নুর উল্লাহ বাহার-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।  তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামীলীগ ভয়ে আতঙ্কি হয়ে জন আতঙ্কে ভুগছেন। যার কারণে তারা অবৈধ অগণতান্ত্রিকভাবে বিনাভোটে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আছেন। মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, আবারো নিতে চায়। যার কারণে বাংলাদেশের মানুষ যেমন তাদেরকে চায় না বিদেশীরা কেউ চায় না। ইতিমধ্যে আমেরিকা বাংলাদেশের ভিসানীতির উপর একটি স্যাংশন জারি করেছেন। বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সারা বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে আছে। আজকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে জনগণের উপস্থিতি দেখে সরকার আবোল তাবোল বকছে। যার কারণে খাগড়াছড়ি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে হত্যার উদ্দেশ্যে আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়িবহরে হামলা করেছে। আগামীতে এ ধরনের ঘটনার পুণরাবৃত্তি ঘটলে যে কোন কিছুর বিনিময়ে তা প্রতিহত করতে হবে। প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ গুম, খুন করে হামলা মামলা দিয়ে নির্যাতন করে ভয় প্রদর্শন করতে চায়। দেশের জনগণ জেগে উঠেছে। এখন ভয় দেখিয়ে প্রতাণামূলক কোন নির্বাচন করা যাবে না। যে কোন মূল্যে জনগণ সমোচ্চর জবাব দিবে। প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে আবদুল্লাহ আল নোমানের উপর হামলার জবাব দিবে সাধারণ জনগণ। সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, আব্দুল্লাহ আল নোমানের উপর হামলা করা মানে জনগণের উপর হামলা করা। আওয়ামী লীগ হিংসাত্মক হয়ে গণতান্ত্রিক পথ পরিহার করে সন্ত্রাসীর পথ বেছে নিয়েছে। তাই দেশের সাধারণ তা কখনো মেনে নেবে না। তাই গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায় সাধারণ জনগণ। বিশেষ অতিথি দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, হামলা মামলা করে, চোখ রাঙিয়ে জনগণকে ভয় দেখানো যাবে না।দেশে বিদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের এতদিনের অপকর্ম পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেছে।এখন প্রত্যেকটি অপকর্মের জবাব দিতে হবে এই অবৈধ সরকারকে। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির নেতা এম এ সবুর, এড. আব্দুর সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস. কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শফিকুর রহমান স্বপন, আব্দুল মান্নান, শাহ আলম, এসকান্দর মির্জা, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, গাজী সিরাজ উদ দৌল্লা, হারুন জামান, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, এড. আব্দুস সাত্তার সরোয়ার, কামরুল ইসলামসহ থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনজুর আলম, মামুনুর ইসলাম হুমায়ুন, আব্দুল্লাহ আল হারুন, জসিম উদ্দিন জিয়া, সাইফুল ইসলাম। বিভাগীয় শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে শ ম জামাল উদ্দিন, ইদ্রিস মিয়া, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, মোতালেব চৌধুরী, মোহাম্মদ হারুন, গাজী আইয়ুব আলী, সফিকুর রহমান মজুমদার, আবু বক্কর সিদ্দিক, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এডভোকেট ইকবাল, হাসিবুর রহমান বিপ্লব, ডাক্তার মহসিন খান তরুন, নাছির উদ্দিন, কাজী আবছার, কামাল উদ্দিন, মো. দেলোয়ার হোসেন, আবদুল খালেক, আতাউল করিম বাবুল, অপু সিং, মো. হাসান, নুরুল আলম সুজন, নার্গিস আক্তার, আজিজ উদ্দিন মিন্টু, বাহার মিয়া, আতিকুর রহমান। অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. সাহেদ, আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, জেলী চৌধুরী, তোফাজ্জল, জিয়াউর রহমান জিয়া, সাইফুল ইসলাম, শরিফুল হক তুহিন, আরিফুর রহমান মিঠু, শহিদুল ইসলাম সুমন প্রমুখ। বক্তারা আরো বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমানকে এখনো আওয়ামী লীগ চিনে না, তিনি হলেন রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ার কারিগর। তার নেতৃত্বে এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরো বেগবান হবে। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে পালিয়ে যেতে হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn