মঙ্গলবার - ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

আদালতে মামলায় আটকাতে গাছ কাটার মিথ্যা অভিযোগ

আদালতে মামলায় আটকাতে গাছ কাটার মিথ্যা অভিযোগ

 

ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরের বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বুড়িশ্বর গ্রামে মাহাবুব আলী নামে জনৈক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলায় আটকাতে জোরপূর্বক বাগানের গাছ কাটা ও মারধরের মিথ্যা নাটকের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার( ৩ মে) এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ভিকটিম মহব্বত আলী বলেন,আমরা নিরীহ মানুষ, দিন আনি দিন খাই, সারাদিন খেতে খামারে কাজে-কামে সময় যায়। তাদেরকে মারার কোনো প্রশ্নই আসে না, তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের কে রাস্তা ঘাটে ও কাজে কর্মে গেলে আমাদের আক্রমণ করে। সেদিন আমি নিজের বাগানের গাছ কাটতে গেলে মাহবুব আলী ও তার স্ত্রী পারুল বেগম তার মেয়ে নিলু ও টিপু তারা এসে আমাদের আক্রমণ করে ও বাঁধা দেয় গাছ কাটতে। মাহবুব আলী বলেন যদি মামলা না উঠায় তারা আমাদের কে রাস্তা ঘাটে যেতে দিবে না। সেদিন তারা লাঠি শোঠা নিয়ে দৌড় দিয়ে আমাকে মারতে আসলে নিজে থেকে পড়ে গিয়ে ঠোঁটে ব্যাথা পায়, এখন মানুষ কে বলতেছে আমরা নাকি রড দিয়ে আঘাত করেছি, আমরা ঘটনাস্থলে রড বা অন্য কিছু নিয়ে যায় নাই। মাহবুব আলী আরেকটা কথা বলছে যে আমি নাকি আরেকজন কে মেরে মাহবুব আলীর বাড়িতে ফেলে দিবো, আমরা মূলত মাহবুব আলীর সাথে কথা ও বলি না এদের ধারে কাছে ও যাইনা। মাহবুব আলী যা বলছে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, মাহবুব আলীর কোনো কথা সত্য না।
ভুক্তভোগী মহব্বত আলীর কাছে বাগানের গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে উনি বলেন, মাহবুব আলী বলছে আমরা উনার বাগানের গাছ কাটছি কিন্তু আমরা আমাদের বাগানের গাছ কাটছি, আমার দলিলের জায়গা এবং এই বাগানের জমি খরিদ সূত্রে আমি মালিক, আমার নামে এই জায়গা নামজারি করা আছে। আমার জমিতে মাপ-ঝোঁক করে সীমানা দেওয়া আছে, মাহবুব আলীর জায়গা পুকুরে আছে, আর আমার জায়গায় এই বাগানে। আমি মাহবুব আলীর কোনো গাছ কাটি নাই, আমার বাগানের গাছ আমি কাটছি।মাহবুব আলীর বাগানের গাছ কাটার তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
ভুক্তভোগী আরও বলেন,মাহবুব আলী বাদী একটা মামলা আছে আদালতে, ঐ মামলায় হাজিরা আছে আমার, হাজিরাতে আমাকে আটকানোর জন্য মাহবুব আলী গাছ কাটার এই নাটকটা সাজাইছে।
ভুক্তভোগী মো.মহব্বত আলী প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমরা যেন সুস্থ ও সরল ভাবে বাচঁতে পারি, মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা থেকে বাচঁতে পারি ও ন্যায্য বিচারটা যেন পাই।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn