
আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাঙালী জাতির ইতিহাস আর এই ইতিহাসের মহানায়ক হচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
মকিস মনসুর
আওয়ামীলীগ মানেই বাংলাদেশ ; আওয়ামী লীগ মানেই বাঙালি জাতির ইতিহাস ; আর ইতিহাসের মহানায়ক হচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার লালসূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর ১৯৪৭ সালে সাম্প্রদায়িকও অবৈজ্ঞানিক দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রায় ২হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত পৃথক দুটি ভূ-খন্ড নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয়।
ইতিহাসের ধারাবাহিকতার আলোকে বাংলার স্বাধীনতার হারানো লালসূর্যকে ফিরে আনার দূঢ়প্রত্যয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাগণ দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের দিন হিসেবে এই ২৩ জুন তারিখটিই বেছে নিয়েছিলেন। ঢাকার টিকাটুলি এলাকার কে এম দাস লেনের নান্দনিক সৌন্দর্যে অতুলনীয় উন্নত রুচি ও অভিজাত দৃষ্টিভঙ্গিতে নির্মিত এক আলোজ্জ্বল ইতিহাসের সাক্ষী ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনেই ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক এ দলটির জন্ম হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। ১৯৫৫ সালে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পর দলটি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নাম ধারণ করে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে নবমবারের মতো দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ১৭ মে ২০২১-এ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার চার দশক পূরণ হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্টাবার্ষিকী,বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল সহ বাংলাদেশ তথা এ উপমহাদেশের রাজনীতিতে এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি, জননেতা শামছুল হককে সাধারণ সম্পাদক, এবং জেলে থাকা অবস্থায় তথকালীন তেজোদ্দীপ্ত তরুণ সংগ্রামী নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করে নতুন এ দলটির জন্মের খবরে চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠি। তারা গণতন্ত্রের মানস পুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে ভারতীয় চর বলে আখ্যায়িত করে। ৪০ সদস্যের ঘোষিত ওয়ার্কিং কমিটি পাকিস্তানের শাসকদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে তীব্র গতিতে দলটিকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে সক্ষম হন। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তৎকালীন সময়ে পাকিস্তানের প্রকৃত অর্থেই প্রথম বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী মুসলিমলীগ ছাড়া কার্যত আর কোন দলের অস্তিত্ব ছিলো না। পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। এর পর ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য ও দলীয় মূলনীতিতে ধর্ম নিরপেক্ষতা গ্রহণের মাধ্যমে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামীলীগ, নামকরন করা হয়। এবং ১৯৭০ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ঐতিহাসিক নৌকা হিসাবে টিক করা হয়।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর এই সংগঠনটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামে পরিচিতি লাভ করে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয় ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ইতিহাস একই সূত্রে গাঁথা। এই দলের জন্মলাভের মধ্য দিয়েই রোপিত হয়েছিল বাঙালীর হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ। জন্মলগ্ন থেকেই দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি দলটির নেতাকর্মীদের অঙ্গীকার ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামে ও স্বাধীনতা অর্জনে আওয়ামী লীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ্বের ইতিহাসে একমাত্র রাজনৈতিক দল, যে দল একটি জাতির ভাষা, স্বাধীনতা এবং পতাকার জন্যে সংগ্রাম করেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আজকের এই লেখার শুরুতেই স্রদ্ধার সাথে স্ররন করছি ঐতিহাসিক এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাকালীল সময়ের অগ্রদূত মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও জননেতা শামসুল হক. গণতন্ত্রের মানস পুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ. আবুল হাশেম. ক্ষণজন্মা পুরুষ অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান. অলি আহমদ. তাজ উদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপটেন এম মনসুর আলী, কামারুজ্জমান সহ যাদের নেতৃত্বে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুকঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নতুন প্রাণ পায় দীর্ঘদিনের পুরনো এই দলটি। এছাড়াও প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজবধি ২০টি কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ ছয় জনকে সভাপতি পদে পেয়েছে আর সাধারণ সম্পাদক পদে পেয়েছে নয় জনকে। দলের প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত চারটি কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ওই বছর একটি বিশেষ কাউন্সিলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ। ১৯৬৪ সালে দলের পঞ্চম কাউন্সিলে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। সভাপতি পদে ছিলেন ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত। ওই বছর ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সভাপতি হন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত সভাপতি পদে ছিলেন। ১৯৭৪ সালে দশম কাউন্সিলে সভাপতি হন এ এইচ এম কামরুজ্জামান। ১৯৭৫ সালে ঘাতকের গুলিতে কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে ও জাতীয় চার নেতা নিহত হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে মহিউদ্দিন আহমেদ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক হন। এর পরের বছর ১৯৭৭ সালে দলের ১১তম কাউন্সিলে সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনকে আহ্বায়ক করা হয়।
এরপর ১৯৭৮ সালে কাউন্সিলে সভাপতি হন আবদুল মালেক। তিনি ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ছিলেন। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে দলের সভাপতি পদে আছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। দলের ১৩তম কাউন্সিলে তিনি প্রথম সভাপতি হন। সর্বশেষ ২০তম কাউন্সিলেও তিনি একই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ গঠনের পর ১৯৪৯ সালে দলের প্রথম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। এরপর ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত দলের দ্বিতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ। এরপর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হন আবদুর রাজ্জাক। ১৯৮৭ সালে সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। ছিলেন ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। এর জিল্লুর রহমান আবারও দুই মেয়াদে ২০০২ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০২ সালের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হন আবদুল জলিল। ছিলেন ২০০৯ সাল পর্যন্ত। ওই বছর দলের ১৮তম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করেন ২০১৬ সাল পর্যন্ত। সর্বশেষ ২০তম
কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়ে নবম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জননেতা ওবায়দুল কাদের।
কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কিংস পার্টি হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি। তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের বিরোধিতা করে জন্ম নেওয়া এই দল তাই কখনো ক্ষমতার তোয়াক্কা না করে মানুষের অধিকার আদায়ে যেমন সোচ্চার, তেমনি জনকল্যাণেও সর্বাগ্রে।
বাংলাদেশ আর আওয়ামী লীগ সমার্থক। বাংলাদেশের মাটি থেকে কেউ আওয়ামী লীগকে মুছে ফেলতে পারবে না।আজও দলটি দেশের জনগণের পছন্দের শীর্ষে।বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং মানবাধিকারের সবচেয়ে বড়ো ধারক ও বাহক।
৭৬ বছরের প্রাজ্ঞ এই দলের সবচেয়ে বড় অর্জন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক শব্দটি বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্টা লাভ করেছে.।
আমাদের জন্যে বাংলাদেশ শুধুই একটি মানচিত্র নয় বরং ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত এবং তিন লক্ষ বীরাঙ্গনার সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া এক সম্পদ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে লক্ষ লক্ষ বাঙ্গালী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।প্রত্যেকটি যুদ্ধেরই একটি পটভূমি থাকে। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধও ১৯৬৬ এ বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা, ৬৯ এর গণ আন্দোলন. ১৯৭০ এ আওয়ামীলীগের নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করা সহ কয়েকটি ঘটনার পর্যায়ক্রমিক রূপান্তর। । ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন যেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেয়, সেই আন্দোলনও এই যুদ্ধের পটভূমি রচনায় সহায়তা করে। ৭৬ বছরের দীর্ঘ যাত্রায়, এই দলটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সকল সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বিরাট এক কালো মেঘ ঢেকে দেয় স্বাধীনতার আলো। বাঙালীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা, বাঙালীর আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্বায়ত্তশাসন সর্বশেষ স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগ তার আদর্শ এবং উদ্দেশ্যে অটল থেকেও সময়ের বিবর্তনে একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ শুধু দেশের পুরনো ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলই নয়, এটি হচ্ছে গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শের মূলধারাও। প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের সমাজ-রাজনীতির এ ধারাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে নিচ্ছে।আমাদের প্রাণের এই সংগঠন এখন ও বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে মাতৃ-সংগঠন হিসাবে স্থান করে নিয়েছে।
বেদনার সঙ্গে বলতে হয়, আজ আমরা গভীর সংকট পার করছি। মেটিকুলাসলি ডিজাইন করা দীর্ঘ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আজ বহুবিধ ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রভূমি। এক দল দ্রুত ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। দ্রুত নির্বাচন নিয়ে মাতামাতি করছে। আরেক দল সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন নিয়ে অনির্বাচিত সরকারকে দীর্ঘায়িত করতে চাইচ্ছে। হাতের পাঁচ হিসেবে জঙ্গি সংগঠনগুলোকে তৈরি রাখছে। চলছে ভূ-রাজনীতির খেলা। এক পরাশক্তি সেন্ট মার্টিন, চট্টগ্রাম বন্ধর, মিয়ানমারের জন্য করিডর পেতে উঠে পড়ে লেগেছে। আরেক পরাশক্তি আফগান-পাকিস্তান স্টাইলে বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য ছোট-বড় নানা রকমের জাল বিস্তার করে চলেছে। সবই বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য সর্বনাশী।
আজকের অসাংবিধানিক সরকার অন্যায়ভাবে
১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া খানের মতো আজ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে, আমাদের লক্ষাধিক নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে, লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করছে। এই দমন-পীড়ন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়, এটি জনগণের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে
এক গভীর ষড়যন্ত্র।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শুধু একটি দল নই,যে কেউ চাইলে মুছে ফেলবে,এইটা একটা অনুভূতি, এই অনুভূতি ছুড়ে ফেলা যায় না। এর সাথে আছে বাংলাদেশ সৃষ্টি নেতৃত্ব, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ, ডিজিটাল বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগ কোনো ভূঁইফোড় সংগঠন নয়।
এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল।এই দলই আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে,গণতন্ত্র ও উন্নয়নের জন্য যুগে যুগে লড়াই করেছে। এই দেশে ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগ ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশ।আওয়ামী লীগ মানেই এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।আরও একবার, অতীতের মতো, আওয়ামী লীগই ফিরবে। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে নতুন করে।ফিনিক্স পাখির মতো ছারখার ছাইয়ের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়াবে আবার,
আলোকিত করবে পুরো বাংলাদেশ।
এই দুঃসময়ে দলের নেতাকর্মী এবং শান্তিপ্রিয় জনগণকে মনোবল ধরে রাখার পাশাপাশি এগিয়ে যেতে হবে দৃঢ়তার সাথে,আজ এই ক্রান্তিলগ্নে বাড়ি-ঘর ছাড়া, দেশ ছাড়া, কারাগারে থাকা সকলকে গৌরব ও সংগ্রামের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অগণিত সৎ ও ত্যাগী নেতা কর্মী, ভক্ত-সমর্থক ও শুভাকাঙ্খীসহ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদেরকে মুজিবীয় শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন এবং সকল শহীদানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাচ্ছি।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় ,আঘাত যতই তীব্র হয়, আওয়ামীলীগ ঘুরে দাঁড়ায়- আওয়ামীলীগই পথ দেখায়। ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই আঁধার কেঁটে আলো আসবে। অতীতের মতো এবারও বাংলাদেশকে রাহুমুক্ত করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর সাহস, ধৈর্য ও বিচক্ষণতার শিক্ষাই আমাদের যুদ্ধ জয়ের অস্ত্র। আওয়ামীলীগ মানে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষের মুক্ত উজ্জ্বল শিখা।চির যৌবনা নদীর মত ,চিরদিন ,চিরকাল হোক তোমার পথ চলা, যুগ যুগান্তরে, সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে ! মানুষের ভালোবাসায় , স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আওয়ামীলীগ অতীতের ন্যায় ঘুরে দাঁড়াবেই। আঁধার কেটে ভোর হোক, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।******************************************
মোহাম্মদ মকিস মনসুর
লেখক ও সাংবাদিক,