
নগরীতে ব্যাংকে ডুকে অভিনব কায়দায় কাঞ্চন মজুমদার নামে এক গ্রাহকের ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় চোরচক্রের মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ আগস্ট) অভিযান চালিয়ে লক্ষীপুর থেকে আসামীদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন,ঢাকা জেলার আবুল কালাম(৭০), খুলা জেলার রিপন গাজী (৪০), চট্টগ্রামের হারুন অর রশিদ (৪৫)।
পুলিশ জানান, কাঞ্চন মজুমদার নামে একজন গ্রাহক লালদিঘীর পাড়স্থ সোনালী ব্যাংক লালদিঘী কর্পোরেট শাখায় তার ডিপিএস একাউন্ট এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় (৩০ জুলাই) সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের লালদিঘী কর্পোরেট শাখার এসে ৭নং কাউন্টার হতে ২ লাখ ৯ হাজার ৮০ টাকা টাকা বুঝে নেন।
এসময় তিনি ব্যাংক থেকে দেওয়া টাকা কাউন্টারের সামনে গণনাকালে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি তার বাম পাশে টাকা পড়ে গেছে বলে জানায়।
নিচে পড়া টাকা তোলে উপরে উঠে দেখে ওই গ্রাহকের ৫০০ টাকার ৩টি বান্ডেলে মোট নগদ ১ লাক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেই।
তিনি উক্ত টাকা কাউন্টারের আশেপাশে সহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। পরবর্তীতে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহায়তায় সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করে দেখেন, অজ্ঞাতনামা চোরচক্র টাকা গুলো নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনা পরবর্তী ভুক্তভোগী কাঞ্চন মজুমদার
অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মারুফ বিন আব্দুল্লাহ সংগীয় ফোর্স’সহ ব্যাংকের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে ঘটনার মূলহোতা আসামী আবুল কালাম, রিপন গাজী ও হারুনুর রশিদ @ ইকবাল’সহ আরও ২ জন আসামীকে সনাক্ত করে।
পরবর্তীতে লক্ষীপুর জেলার রায়পুরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী আবুল কালাম, রিপন গাজী ও হারুনুর রশিদ @ ইকবাল’দের গ্রেফতার করে। এবং তাদের থেকে হতে চুরি যাওয়া ২ হাজার ৫ ৪০ টাকা টাকা উদ্ধার করেন পুলিশ।
পুলিশ আরোও জানান, আসামী আবুল কালাম এর বিরুদ্ধে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, জামালপুর, ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা এবং আসামী রিপন গাজী এর বিরুদ্ধে খুলনা জেলার রুপসা থানা ও লবনচরা থানায় ২টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মারুফ বিন আব্দুল্লাহ বলেন, টাকা চুরির সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।