
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য সদ্য অব্যাহতি পাওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে সপরিবারে মার্কিন দূতাবাসে অবস্থান নিয়েছেন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানে দূতাবাসের বহির্বিভাগের অভ্যর্থনা কক্ষে তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বসে আছেন। তাঁকে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়। তবে দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের সঙ্গে কাউকে কথা বলতে বা দেখা করতে দিচ্ছেন না। দূর থেকেও কাউকে ছবি তুলতে দিচ্ছে না।
অভ্যর্থনাকক্ষে দাড়িয়ে মার্কিন দূতাবাসের রিজিওনাল সিকিউরিটি অফিসারের (আরএসও) এর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলছেন ইমরান। সবাইকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গাড়িতে তোলা হয়। ৭টা ৩৮ মিনিটে তাদের পার্কিং থেকে দূতাবাসের ভেতরে নেওয়া হয়।
নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বিকেল ৪টার একটু আগে এমরান আহম্মেদ ভূঁইয়া দূতাবাসে আসেন।
ইংরেজি গণমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া বার্তায় এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি মার্কিন দূতাবাসে আজকে পুরো পরিবারসহ আশ্রয়ের জন্য বসে আছি। বাইরে পুলিশ। আজকে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে…। আমার ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গত ৪-৫ দিন যাবৎ অনবরত হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার ভালোবাসার প্রতিদান দেয় জেল দিয়ে। আমার আমেরিকার কোনো ভিসা নেই। স্রেফ ৩টা ব্যাগে এক কাপড়ে আমার ৩ মেয়েসহ কোনোক্রমে বাসা থেকে বের হয়ে এখানে বসে আছি। দোয়া করবেন আমাদের জন্য।’
দূতাবাসের সামনের ফুটপাথে ডিপ্লোমেটিক পুলিশ, এসপিবিএন, এপিবিএন, সিটিটিসি, থানা–পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এ ছাড়া দূতাবাসের বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যদেরও সেখানে নিরাপত্তা দিচ্ছেন।