অবৈধভাবে উর্বর কৃষি জমির মাটি খননের রমরমা ব্যবসা!
চট্টগ্রাম বাশঁখালী থানাধীন কাথারিয়া গ্রামের মো মিনহাজ উদ্দিন নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি, উর্বর কৃষি জমি চাষ করার উপযোগী অবৈধভাবে মাছে খামারে নাম ব্যবহার করে মাটি খনন করে রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে । স্থানীয় সূত্র জানা যা-ই
দীর্ঘ দিন ধরে সাধারণ কৃষি শ্রমজীবি মানুষ কাছ থেকে নানা কৌশল অবলম্বন করে, নিজের নামে জমি অবৈধ দলিল তৈরি করে। ভয়-ভীতি দেখিয়ে কৃষি উপযোগী জমিন নিজের দখলে নিয়ে নেন, দীর্ঘদিন ধরে কয়েক হেক্টর জমি বর্গার মাধ্যমে চাষাবাদ করেন সাধার কৃষক। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন সাধারণ কৃষক বলেন, মো: মিনহাজ উদ্দীন, পিতা- মৌলানা আব্দুল করিম,প্রযত্নে- রজিউল্লাহ মুন্সি বাড়ি,গ্রাম+ডাক- কাথরিয়া, বাঁশখালী।কাথরিয়া বাজারের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে,কাথরিয়া (৬) নং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়াড়রে বাসিন্দা। অত্র ওয়াড়ের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ২২০ শতক কৃষি জমি (ওয়াকফ সম্পত্তি) ইজা নিয়ে দুইটি এস্কেভেট দিয়ে মাটি কেটে বিক্রয় করছে, একই সাথে বিলের মাঝখানে বাঁধ তৈরি করছে, বর্ষকালে পুরো বিল জলচ্ছাসে পরিণত হবে। পাশে আমার কৃষি জমিও চাষাবাদ অনুপযোগী হয়ে পড়বে।ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি সবাইকে বলে বেড়াছে তিনি, থানা ম্যানেজ করছে।অন্য আরেকজন বলেন আওয়ামী লীগ সরকার পতন হবার পর থেকে যেন আকাশচুম্বি রাজার রাজত্বহীন রাজার রাজ্য খুঁজে পেয়েছি,তার কোন ব্যবসা বা স্থানীয় কোন চাকরি নাই হঠাৎ করে এত টাকার মালিক কিভাবে হয়? অতীতে তাদের এমন অবস্থা ছিল না। তিনি আরো বলেন হঠাৎ করে গত শনিবার রাতে তার জমিতে এস্কেভেট দিয়ে মাটিকাটা খনন করে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করলে কল ধরেন, স্থানীয় মেম্বার পিতা মোজাহের, তিনি উর্বর কৃষিকাজ চাষাবাদযোগ্য জমির মাটি কাটার সাথে জড়িত আছেন স্বীকার করেন। এখন মোবাইল ফোনে মিনহাজের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন, আমার জমি আমি চাষবাদ করব না কি করবো সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার, কার বাপের কি? এবং এই বিলে যদি ২০ খানি জমি থাকে ১৫ খানি আমার।এই বিষয়ে কথা বলার সাহস কে দিয়েছে। বাঁশখালী থানার অফিসার ইনর্চাজ সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, স্থানীয় ভূমি নির্বাহী অফিসার এসিল্যান্ডের স্যারের সাথে মোবাইল কোর্ট সহযোগিতা করব,এসিল্যান্ড স্যারের সাথে আমরা থাকবো।
এসিল্যান্ড সাথে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ব্যস্ত আছে বলে কল কেটে দেন। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোহাম্মদ জামশেদুল আলম কে কল দিলে তিনি জানান আমি এ বিষয়ে অবগত না আমরা মোবাইল কোর্ট দিয়েছি কিন্তু ঘটনা স্থানে যাওয়ার পরও আমরা এরকম কোন তথ্য চিত্র পাই নাই। অথচ প্রশাসনের নাগের ডগায় দিয়ে ২২০ শতক উর্বর কৃষি চাষের উপযোগী জমি অবৈধভাবে মাটি খনন করে অবাদে বিক্রয় করছে।