সোমবার - ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

অবরোধের সমর্থনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে ঘোষিত তফসিল বাতিলের দাবিতে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি প্রতিরোধের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে অবরোধের সমর্থনে সকাল ৮ ঘটিকার সময় খাতুনগঞ্জ, কোরবানীগঞ্জ, আসাদগঞ্জসহ বাণিজ্য রাজধানী গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্বে মিছিল পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সদস্য, মোঃ রবিউল হোসেন, হালিশহর থানার শ্রমিক দলের সদস্য সচিব রফিক উদ্দিন জসিম, বাকলিয়া থানা শ্রমিক দলের নেতা আব্দুল বারী, মোহাম্মদ সাগর, কোতোয়ালি থানা শ্রমিক দলের নেতা মোহাম্মদ বেলাল, মোহাম্মদ জহির প্রমুখ। এই সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকের ৯০ দশকের এরশাদ স্বৈরাচার পতন দিবস, এই স্বৈরাচারের চেয়ে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসক পাকিস্তান আমলের সামরিক শাসকের চেয়ে খারাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমান হাইজাকার আওয়ামী সরকার পাকিস্তানি শান্তি কমিটি নেয়ায় শান্তি সমাবেশ করছে সরকারের দলীয় লোকেরা। এরা বর্তমানে পাকিস্তানের ভূমিকা পালন করছে। একদলীয় একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো স্বৈরাচারী কায়দায় দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য দেশের মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে। তেমনিভাবে গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে। বিনা বিচারে আদালতকে ব্যবহার করে একতরফাভাবে। রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকায় বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদেরকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হচ্ছে। তাই আজকে স্বৈরাশাসকের কারণে দেশের দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে দেশের মানুষকে একতরফা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে এসে গণ অভূত্থান তৈরি করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় এর স্বৈরাশসক আবারো অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নিলে দেশের মানুষ বেঁচে থাকা দুসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে। স্বৈরা শাসকের লোকেরা লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে যেভাবে ধ্বংস করেছে অতীতের ন্যায় আবারো শুরু করছে। ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ার নির্বাচনের নামে আরেকটি তামাশা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বৈধতা দেওয়ার জন্য নির্বাচন তফসিল নামক একটি নাটক মঞ্চ তৈরি করছে। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র স্বৈরতন্ত্রে রূপ নিয়েছে। সরকারের বিরোধী দল বলতে কিছুই নেই। কোন রাজনৈতিক সংগঠন স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে পারছেন না। বর্তমান অবৈধ শাসক গোষ্ঠীর অধীনে ক্ষমতা ভাগাভাগির মাধ্যমে আবারো দেশের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশীয় আন্তর্জাতিক কিছু চক্রান্তকারী লিপ্ত রয়েছে। তাই আগামীতে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। অসংখ্য মানুষ না খেয়ে নীরব দুর্ভিক্ষে আত্মহত্যা করছে। অন্যদিকে তামাশা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে নেওয়ার ফলে এ সরকারে আবার লুটপাট করবে। দেশের মানুষ দুর্ভিক্ষের শিকার হবে। শুধু তাই নয়, দেশের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক হবে। দেশে ভোটের অধিকার মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। অবৈধ তফসিল বাতিলের দাবিতে আজকে যে অবরোধ চলছে তা দেশবাসীকে সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য উক্ত সমাবেশ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন নেতৃবৃন্দ ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn